বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্ত এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সঙ্গে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী পুলিশ কাজ করছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
আজ মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশে গুরুতর আহত রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পুলিশ সদস্য রাজ্জাককে দেখতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। ভারতে উন্নত চিকিৎসা শেষে রাজ্জাককে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আইজিপি বলেন, ‘ঘুমধুম সীমান্ত এলাকার পরিস্থিতি ভয়াবহ।
স্থানীয় লোকজন আতঙ্কে আছে।’ এ অবস্থায় সীমান্ত এলাকায় পুলিশ কী ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে জানতে চাইলে আইজিপি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আহত হয়ে যারা আমাদের দেশে এসেছেন তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা সরকার করছে।’
বাংলাদেশ পুলিশ, বিজিবি ও প্রশাসন সবাই মিলে সরকারের নির্দেশনার আলোকে দায়িত্ব পালন করছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশের সব সদস্য দেশের প্রয়োজনে দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।’
সীমান্ত এলাকায় মর্টার শেলের আঘাতে দুজন নিহত হয়েছে, এখন তারা কাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করবে জানতে চাইলে আইজিপি বলেন, ‘কে মর্টার শেল নিক্ষেপ করেছে তা এখনো সুনিশ্চিত না।
এ ঘটনায় আমরা একটা মামলা নিয়েছি। মামলার আসামি অজ্ঞাত। তদন্তে যাদের নাম আসবে পরবর্তী সময়ে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সীমান্তের বর্তমান পরিস্থিতিতে পুলিশ সদস্যদের প্রতি কী নির্দেশনা আছে জানতে চাইলে পুলিশপ্রধান বলেন, ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আছে। জেলা পুলিশসহ এপিবিএন সতর্ক আছে।’
তিনি বলেন, ‘সীমান্তে বিজিবি দায়িত্ব পালন করছে। তাদের দায়িত্ব পালনে যে সহযোগিতা চাচ্ছে আমরা সে সহযোগিতা দিচ্ছি। স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ, বিজিবি ও গোয়েন্দা সংস্থা মিলে যে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন সে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
বর্তমান সীমান্ত পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় নজরদারী বৃদ্ধি করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এসব এলাকায় পুলিশের উপস্থিতি বৃদ্ধিসহ পেট্রোল বৃদ্ধি করা হয়েছে।
সীমান্ত এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশসহ সব সংশ্লিষ্ট সংস্থা দায়িত্ব পালন করছে।’