মালয়েশিয়ায় কন্টেইনার থেকে উদ্ধার হওয়া ছেলেটির পরিচয় মিলেছে। মালয়েশিয়ায় পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তার ডাকনাম ফাহিম বললেও তার পরিবার বলছে তার নাম ‘রাতুল’। সে একজন মানসিক প্রতিবন্ধী। তার বাড়ি কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার সাতপুকুরিয়া গ্রামে। তার বাবা ফারুক একজন দিনমজুর। দুই মাস আগে কুমিল্লার বাড়ি থেকে সে হারিয়ে গিয়েছিল।
গত ১৭ জানুয়ারি মালয়েশিয়ায় খালি কন্টেইনার থেকে উদ্ধারের পর তার ছবি নিয়ে গত দুই দিন দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ করা হলে কুমিল্লা থেকে তার পরিবার সাড়া দেয়। এরপরই তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়। এখন পরিবার দ্রুত তাকে দেশে ফেরত আনার দাবি জানিয়েছে।
মনোহরগঞ্জ জুলুম দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ বলেন, পত্রিকার খবর আমরা দেখার পর বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি। তার বাবা ফারুক একজন দিনমজুর। দুই মাস আগে সে হারিয়ে গিয়েছিল। এখন যেকোনো মূল্যে তাকে ফেরত চাইছে।
জানা গেছে, চট্টগ্রামের বেসরকারি কন্টেইনার ডিপো নেমসান থেকে খালি কন্টেইনারে ঢুকে ওই কিশোর ঘুমিয়ে পড়েছিল। একপর্যায়ে সেই কন্টেইনার চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে জেটিতে থাকা ইন্টিগ্রা জাহাজে ওঠে। চার দিন পর ১৭ জানুয়ারি জাহাজটি মালয়েশিয়ার কেলাং বন্দরে পৌঁছলে চিৎকার শুনে জাহাজের ক্যাপ্টেন তাকে শনাক্ত করেন।
এদিকে কিশোর উদ্ধারের ঘটনা নিশ্চিত করলেও এর সঙ্গে মানবপাচারের সংশ্লিষ্টতা দেখছেন না মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক সেরি সাইফুদ্দিন। মঙ্গলবার প্রথম ওই কিশোর উদ্ধার হওয়ার খবর সামনে আসে। বৃহস্পতিবার থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিশোর উদ্ধারের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে।
মালয়েশিয়ায় একটি অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে দাতুক সেরি সাইফুদ্দিন গতকাল বলেন, কনটেইনারে কিশোর উদ্ধারের ঘটনার সঙ্গে মানবপাচারকারী চক্রের কোনো সম্পর্ক নেই। এ ব্যাপারে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক সেরি জানান, ওই কিশোর কন্টেইনারে একাই ছিল। তাকে উদ্ধারের পর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে দেশে পাঠানো হবে।