মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধি:
মাদারীপুর শহরের চৌরান্তা এলাকায় বুধবার সকাল ৮টার দিকে পরকীয়ার জেরে লিজা আক্তার (৩০) নামে এক গৃহবধূকে কুপিয়ে যখম করার অভিযোগ উঠেছে স্বামী আজমীর ঘরামীর বিরুদ্ধে। মারাত্মকভাবে আহত লিজা আক্তারকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ৭ বছর আগে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয় পাঁচখোলা ইউনিয়নের জাফরাবাদ এলাকার মান্নান ঘরামীর ছেলে আজমীর ঘরামীরের সাথে শহরের সৈদারবালী এলাকার আ. হক মাতুব্বরের মেয়ে লিজার। তাদের সংসারে ৫ ও ৪ বছরের দুটি শিশু সন্তান রয়েছে। বিয়ের পরে সামান্য ব্যাপার নিয়ে মাঝেমধ্যেই লিজাকে মারধোর করতো আজমীর। পরবর্তীতে লিজা আক্তার খোঁজ নিয়ে জানতে পারে, ঘোষের হাট এলাকার এক প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে আজমীরের পরকীয়ার সম্পর্ক। এই নিয়ে তাদের সংসারে অশান্তির সৃষ্টি হয়। সেই ঝামেলার সূত্র ধরে সকালে আজমীর লিজাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারলো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে যখম করে। পরে স্থানীয়রা আহত লিজা আক্তারকে উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
আহত লিজা আক্তার বলেন, আমার স্বামী আজমীরের সাথে এক মহিলার দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়ার সম্পর্ক ছিলো, এছাড়াও সে মাদকাসক্ত। বিভিন্ন সময়ে লোকজন নিয়ে এসে বাসায় মাদকের আসর বসায়। এতে বাধা দিলে একাধিকবার শারীরিক নির্যাতন করছে। কিন্তু আমার বাচ্চাদের মুখের দিকে তাকিয়ে তাকে কিছুই বলতে পারি নি। আজ আবার সামান্য ব্যাপার নিয়ে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে চাপাতি দিয়ে মাথার অনেক জায়গায় আঘাত করে গুরুতর যখম করে। আমি এর বিচার চাই।
এই ব্যাপারে অভিযুক্ত আজমীর ঘরামীকে একাধিক বার মোবাইলে কল করলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায় নি।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুল ইসলাম মিঞা বলেন, ভুক্তভোগী লিখিত অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।