মাদারীপুর প্রতিনিধি:
নিজের বাড়ি সংলগ্ন ১০ শতাংশ জমি ইট ভাটার মালিক মস্তফা মাতুব্বরকে
লীজ দেয়াই কাল হয়ে দাড়িয়ে মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়নের সদস্য বেলায়েত হোসেন এবং তার পিতা কাজী আবু আলেমের। মস্তফা মাতুব্বর নানা অপকৌশলে এখন তাদেরকে বাড়ি ঘর থেকে উচ্ছেদ করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে এবং পরিবারটিকে নানাভাবে হয়রানি ও অত্যাচার চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ইউপি সদস্য বেলায়েত হোসেনের বাড়ি মাদারীপুর সদর উপজেলার মহিষেরচর গ্রামে। তাদের বসত ঘর থেকে বেরুলেই চোখে পড়ে দেয়াল দিয়ে ঘেরা মস্তফা মাতুব্বরের ইটের ভাটা। ২০১৭ সনের ১ এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের ৩০ আগস্ট পর্যন্ত ৫ বছরের জন্য তার বাড়ি সংলগ্ন ১০ শতাংশ জমি ভাড়ায় লিজ প্রদান করেন আবু আলেম মোস্তফা মাতুব্বরকে। লীজের মেয়াদ শেষ হয়ে যাবার পর জমি ফেরত চান তিনি, কিন্তু মস্তফা মাতুব্বর লীজকৃত জমি তাকে দিচ্ছেন না। দেয়াল দিয়ে ঘিরে রেখেছেন লীজ দাতার জমি। এদিকে গত ২২ এপ্রিল ইউপি
মেম্বার বেলায়েত হোসেন ও তার পিতা আবুল আলম তাদের জমিতে ঘর তুলতে গেলে মোস্তফা মাতুব্বর ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী তাদের উপর অর্তকিত হামলা
চালিয়ে বাড়িঘর ভাংচুর লুটপাট বাড়ির বৌ ঝি সহ সবাইকে মারপিট করে
গুরুতর আহত করে এবং ঘর তুলতে বাধা দেয়। এ ব্যাপারে বেলায়েত হোসেন মাদারীপুর সদর মডেল থানায়কৃত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাব ইন্সেপেক্টর মোঃ মোস্তফা কামাল বাড়ি ঘর ভাচুর লুটপাট, ছিনতাই এবং চাঁদা দাবীসহ বিভিন্ন অভিযোগ সত্য বলে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিভিন্ন ধারায় চার্জশীট প্রদান করেন। মামলাটি বর্তমান মাদারীপুর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচারাধীন আছে।
উল্লেখ্য, ইট ভাটার মালিক মোস্তফা মাতুব্বরের বিরুদ্ধে মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। এ ব্যাপারে দু’জন সাংবাদিক ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে গেলে বেলায়েত হোসেনের স্ত্রী এবং অন্যান্য সদস্যরা কান্না জড়িত কণ্ঠে তাদের মারধরের কথা জানান এবং হাতে ও পায়ে মারধরের চিহ্ন দেখান। পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ফেরার পথে মোস্তফা মাতুব্বরের লোকজন মটর সাইকেলের গতিরোধ করার চেষ্টা করেন। আরো উল্লেখ করা যেতে পারে, এ ব্যাপারে মাদারীপুর সদর উপজেলার দুধখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেন সেলিম পাঁচখোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান টুকু মোল্লা, মাদারীপুর জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য আবদুল মান্নান লস্করসহ গন্যমান্য
ব্যক্তিবর্গ সালিশ মীমাংসার মাধ্যমে সমাধান করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু
মোস্তফা মাতুব্বর তা না মানায় সালিশ মীমাংসা ব্যর্থ হয়। পরিশেষে তারা
বেলায়েত হোসেনকে মামলা করার পরামর্শ দেন।