কক্সবাজার প্রতিনিধি:
মহেশখালীর মাতারবাড়ির গভীর সমুদ্র বন্দরে ভিড়েছে বাংলাদেশের ইতিহাসের সর্বৃহৎ বিদেশি পণ্যবাহি জাহাজ, এতে আনন্দে উল্লাসিত মহেশখালীর সাধারণ জনতা। এতে করে বুঝা যাচ্ছে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের আগেই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেতে যাচ্ছে কক্সবাজার জেলাধীন মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ির এই বন্দরটি। বন্দর ঘোষণার পর থেকে মহেশখালীর লোক মুখে নানা ধরনের গুঞ্জন ছিল এই বন্দরটি আদৌও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাবে কিনা? এবং বড় জাহাজ ঢুকার সুযোগ আছে কিনা? অবশেষে সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আজ ২৫ এপ্রিল মাতারবাড়ি বন্দরে ভিড়েছে বাংলাদেশের ইতিহাসের সর্ববৃহৎ এই পণ্যবাহি জাহাজটি। তবে কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী গতকাল সোমবার সন্ধ্যা সাতটায় মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরের কাছাকাছি এসে বিদেশি পণ্যবাহি এই জাহাজটি নোঙ্গর করে। নোঙরের খবরটি মুহূর্তেই মহেশখালীতে ছড়িয়ে পড়লে, মহেশখালীর হাট বাজার, চায়ের দোকান সহ সবখানেই টপ অব দ্যা টক অব মহেশখালী হিসেবে এই নিউজটি আলোচিত হয়ে উঠে। গত ২৫ তারিখ মূল বন্দরে আনুষ্ঠানিক নোঙ্গর ও পন্য খালাসের সময়ে মিডিয়া কর্মীসহ মহেশখালীর বিভিন্ন গ্রাম অঞ্চল থেকে বিবিধ শ্রেনী পেশার মানুষ সকাল থেকে জড়ো হতে থাকে। মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরে পানামার পতাকাবাহী ৮০হাজার মেট্রিক টন ক্যাপাসিটির (OWUSU MARU) জাহাজ মাতারবাড়ি কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ৬৩ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে আসা এই জাহাজটি মহেশখালী -কুতুবদিয়ার মাননীয় সাংসদ আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিকের উপস্থিতিতে জাহাজের ক্যাপটেন ও কোল- পাওয়ার কর্তৃপক্ষের সমন্বয়ে আনুষ্ঠানিক নোঙ্গর ও পণ্য খালাসের প্রক্রিয়া শেষ করে।
বন্দর কর্তৃপক্ষের হিসাবমতে এটি মাতারবাড়ি বন্দরের ১১৩ নাম্বার জাহাজ। এতে উপস্থিত মাতারবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু হায়দার, মহেশখালীর বিবিধ রাজনৈতিক ও সমাজিক নেতৃবৃন্দ সহ সাধারণ মানুষদেরকে উল্লাসে মেতে উঠতে দেখা যায় এবং তাদের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া এই বন্দরে পুরো মহেশখালীর মানুষের ভাগ্য আকাশের তারা পালটে যাবে। তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও মহেশখালী – কুতুবদিয়ার মাননীয় এমপি আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে অভিনন্দন জানান এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।