মাগুরা প্রতিনিধি:
মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার দরিবিলা গ্রামে সামাজিক বিরোধের জেরে মসিয়ার রহমান (৪০) নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নিহত মসিয়ার দরিবিলা গ্রামের মৃত লুৎফর রহমানের পুত্র। ঘটনার পরে বিরোধী পক্ষের অন্তত ৩০টি বাড়িঘরে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট চাালানো হয় বলে ক্ষতিগ্রস্তরা দাবি করেছেন।
গ্রামবাসী জানিয়েছেন, সামাজিক দলাদলি ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দাইরপোর দরিবিলা গ্রামের নজিরদ্দি মিয়া ও গোলাম রসুল মাষ্টারের সমর্থকদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। নজিরদ্দি মিয়া শ্রীকোল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম এম মোস্তাসিম বিল্লাহ সংগ্রামের সমর্থক ও গোলাম রসুল মাষ্টার সাবেক চেয়ারম্যান কুতুবুল্লাহ হোসেন মিয়ার সমর্থক বলে জানা গেছে।
নিহত মসিয়ার রহমানের মামা আবু বকর জানান, বিরোধের জের ধরে সোমবার দুপুরে গোলাম রসুল মাষ্টারের সমর্থক শাহাদত মিয়ার ছেলে ওলিউর রহমান বিরোধী পক্ষ নজিরদ্দি মিয়ার পক্ষের একটি মেয়েকে উত্যক্ত করে। এ নিয়ে সোববার দুপুরের পর থেকেই উভয় পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নেয়। এ নিয়ে নিহত মশিউর রহমানের মামাতো ভাই ডলার মিয়া প্রতিপক্ষ সামাজিক দলের মুক্তার হোসেনের সাথে বাকবিতন্ডা হয়। এ সময় মুক্তার হোসেন তাদেরকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। এরই এক পর্যায়ে মঙ্গলবার সকালে মশিউর রহমানকে একা পেয়ে আয়ুব, জামান, তুহিন, লিমন, জাহাঙ্গীর, আসলাম ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। এরপর তাকে মাগুরা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত জরুরী বিভাগের ডাঃ পরীক্ষিত পাল তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় আহত নারীসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়ে মাগুরা সদর হাসপাতাল ও শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে, হত্যাকান্ডের পরে নিহত মসিয়ার রহমানের পক্ষের লোকজন প্রতিপক্ষের মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই, শিহাব, হাসেম, হবিবর, মজিবর, আয়াত আলী, ইনছার আলী, রজবসহ অন্তত ৩০ টি বাড়িঘরে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করে বলে ক্ষতিগ্রস্তরা দাবি করেছেন।
হত্যাকান্ডের বিষয়ে শ্রীপুর উপজেলার ৩ নং শ্রীকোল ইউনয়নের চেয়ারম্যান এম এম মোন্তাসিম বিল্লাহ সংগ্রাম বলেন, আমি এখন ঢাকায় অবস্থান করছি। তাই এ বিষয়ে তেমন কিছু বলতে পারছি না। অপর দিকে মতামত জানতে একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও গোলাম রসুল মাষ্টারের মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। ঘটনার পরে মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহসান হাবিব এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার ওসি আলী আহমেদ মাসুদ বলেন, এলাকায় এখন অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কাজ করছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।