কক্সবাজার প্রতিনিধি :
মহেশখালী পৌরসভার টানা তিনবারের নির্বাচিত সফল মেয়র, কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য , মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী সদস্য, মহেশখালী পৌর আওয়ামীলীগের আহবায়ক আলহাজ্ব মকসুদ মিয়ার বিরুদ্ধে কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী মাওলানা ওসমানের আপন ছোট ভাই পৌরসভা নির্বাচনে মাত্র ৮২ ভোট পাওয়া বিএনপি নেতা আমজাদ হোসেনকে দিয়ে পরাজিত প্রার্থীরা ও স্থানীয় জামাত-বিএনপি জোট হয়ে করা মিথ্যা মামলা দেশবিরোধীদের চক্রান্তের অংশ বলে মনে করেছেন জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ ও মহেশখালী পৌরসভার কাউন্সিলরা। না হয় পুরো মহেশখালী পৌর আওয়ামীলীগ পরিবারকে কেন আসামি করা হলো? এটা পৌর আওয়ামীলীগ কে ধ্বংস করার এক মহা চক্রান্ত নয় কি?
মহেশখালী পৌরসভার কাউন্সিলরবৃন্দ ও আওয়ামী লীগের দলীয় নেতাদের দাবি বিএনপি নেতা আমজাদ হোসেনকে রাতের আধারে জামাত অধ্যুষিত এলাকা লিডারশীপ কলেজের সামনে কে বা কারা হামলা করেছে কেউ দেখেনি ঘটনার পরপরই কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী মাওলানা ওসমানের ভাগিনা ডাক্তার হাশেমের ছেলে মালয়েশিয়া থেকে লাইভে জনপ্রিয় মেয়রের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা জামাত শিবিরের নেতারা তা শেয়ার করা জামাত-বিএনপি’র পূর্ব পরিকল্পিত হামলা বলে ধারণা করা হচ্ছে সাথে সাথে তা নিয়ে একজন জনপ্রিয় তিনবারের সফল মেয়র আলহাজ মকছুদ মিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেশবিরোধীদের গভীর ষড়যন্ত্র বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ আমজাদ হোসেনের পুরো পরিবারই সরকারবিরোধী আমজাদ হোসেনের বড়ভাই মাওলানা ওসমান যোদ্ধাপরাধ মামলায় কারাবরণ করে বর্তমানে জামিনে রয়েছে,আরএকভাই জামাল হোসেন জামায়াত ইসলামীর নেতা, আমজাদ হোসেন নিজে একজন বিএনপি নেতা। আওয়ামী লীগের দলীয় নেতা ও পৌরসভার কাউন্সিলররা জানান,আমজাদ হোসেন নিজের আপন বড় ভাই কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধ মামলার আসামি মাওলানা ওসমান ও আপন মামা কে বাঁচানোর জন্য যুদ্ধাপরাধী মামলার সাক্ষী হয়েছেন, এটাও একটি দেশবিরোধী গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ বলে আমরা মনে করছি। তার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদএবং সাক্ষী হওয়ার বিষয়টি গভীরভাবে তদন্তের জোর দাবি জানাচ্ছি। আমরা মনে করছি জামায়াত বিএনপিরা সবদিক থেকেই ব্যর্ত হয়ে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয় প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির চেষ্টা চালাচ্ছে।
তারই ধারাবাহিকতায় বিএনপি জামাতের নেতারা নিজেরাই বিএনপি নেতা আমজাদ হোসেনকে সেদিন রাতের আধারে পরিকল্পিত হামলা করে পৌর আওয়ামী লীগের আহবায়ক পৌর মেয়র আলহাজ্ব মকসুদ মিয়া ,পৌর যুবলীগের আহবায়ক মুহাম্মদ মামুন ,পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি মুহাম্মদ মোরশেদ , মেয়র আলহাজ্ব মকসুদ মিয়ার কলেজ পড়ুয়া দুই পুত্র যারা সেই থেকে এই পর্যন্ত লেখাপড়ার জন্য কক্সবাজারের বাহিরে রয়েছে। আওয়ামী লীগের বহু নেতাকর্মীকে আসামি করে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা করেছে, তাও আবার কোন তদন্ত ছাড়াই হুট করে মামলা রেকর্ড করা জনমনে প্রশ্ন উঠেছে। দলীয় নেতাদের দাবি বিএনপি নেতা আমজাদ হোসেন ও চিহ্নিত দু’একজন বিএনপি জামাতের নেতাদের রিমান্ডে মুখোমুখি করলেই ষড়যন্ত্রের আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে।
তাই উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় নেতারা ও পৌর কাউন্সিলররা উক্ত ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নিয়ে মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন মামলা থেকে অব্যাহতি প্রদানে দেশরত্ন, বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানিয়েছিলেন। এ বিষয়ে পৌর মেয়র আলহাজ্ব নূর মিয়া জানিয়েছেন আমি শান্তিতে বিশ্বাসী, আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পরীক্ষিত সৈনিক, আমি সন্ত্রাসী হলে মহেশখালী পৌরসভার মানুষ আমাকে একটানা তিনবার ভোট দিয়ে পৌর মেয়র বানাতেন না, চক্রান্ত করে আমাকে থামানো যাবে না, জামাত বিএনপির ষড়যন্ত্রে পৌর আওয়ামীলীগের কার্যক্রম ও পৌরসভার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বন্ধ হবেনা ইনশাল্লাহ।