Friday , 22 November 2024
E- mail: news@dainiksakalbela.com/ sakalbela1997@gmail.com
ব্রেকিং নিউজ
মহেশখালীর মিফতা চকরিয়ায় গৃহকর্মীর কাজে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরলো
--প্রেরিত ছবি

মহেশখালীর মিফতা চকরিয়ায় গৃহকর্মীর কাজে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরলো

কক্সবাজার প্রতিনিধি:
মহেশখালীর শিশু মিফতা কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতে গিয়ে দেড় বছরের মাথায় লাশ হয়ে ফিরে এসেছে।
জানা যায় দশ বছরের শিশু মিফতার বাবার নাম ছৈয়দ নুর, পেশায় জেলে এবং মা গৃহিণী। বাড়ি মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের ঘটিভাঙ্গা গ্রামের পশ্চিম পাড়ায়। দারিদ্রতার কষাঘাতে পড়ে চকরিয়া উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের হাজিয়ান গ্রামের জনৈক হারুনের বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করতে গিয়েছিল। আজ তার বিভৎস মরদেহ এম্বুলেন্সে পাঠানো হলো বাড়িতে। মেয়েটির মা জানিয়েছেন বিগত দেড় বছর পূর্বে তার মেয়েকে মহেশখালী পৌরসভার রশিদ বহাদ্দার ও রশিদ বরাদ্দেরের স্ত্রী চকরিয়ায় তার মেয়ে সুমার বাড়িতে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করার কথা বলে নিয়ে যায়। এর পর থেকে আমার মেয়েকে কোথায় রেখেছে আমাকে দেখতে দেয় নাই। কথা বলতেও দেয় নাই। হঠাৎ আমাকে ফোন করে বলতেছে আমার মেয়ে ডাইরিয়ায় মারা গিয়েছে, এখন দেখতেছি আমার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে।মেয়ের মামা রোস্তোম প্রতিবেদককে জানিয়েছেন আমার ভাগিনিকে হত্যা করে ফ্রিজে রেখেছিল বলে আমরা জেনেছি। লাশ নিয়ে আসা অ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভার কে জিজ্ঞেসা করলে তিনি জানান লাশটি তিনি চকরিয়ার বারবাকিয়া ইউনিয়নের হাজিয়া গ্রামের একটি বাড়ি থেকে তুলেছেন। সাথে হারুন নামের একজন পুরুষ ও নাম না জানা একজন মহিলা গাড়িতে করে আসলেও মহেশখালী পৌরসভায় ঢোকার আগে দুজনই নেমেগেছে। পরে গোরকঘাটার একজন লোক উঠে এখানে নিয়ে আসেন।
মিফতার লাশ এম্বুলেন্সে। পুলিশ প্রাথমিক সুরতহালে পুরো শরীরে গরম পানি বা গরম তেল ডালা হয়েছে বলে ধারণা করেছে । মাথায় মুড়ানো কাপড় রক্তে ভিজে গেছে। টপ টপ করে অ্যাম্বুলেন্সে রক্ত ঝরছে মিফতার মাথা থেকে। এক চোখ ফুলে কালো হয়ে গেছে। মাথার কয়েক জায়গায় কাটা রক্তাক্ত দাগ। বাকি শরীরের আঘাত গুলো দেখার পর মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ প্রনব কুমার চৌধুরীর নির্দেশে পোস্ট মর্টেমের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে। খবর পেয়ে চকরিয়া থানা পুলিশ ঐ বাসায় গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে মহেশখালী থানা অফিসার ইনচার্জ প্রনব কুমার চৌধুরী জানিয়েছেন ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক তবে যেহেতু চকরিয়া উপজেলায় হয়েছে তাই মামলা চকরিয়া থানায় করতে হবে। চকরিয়া থানা আমাদের সহাযোগিতা চাইলে আমি সর্বাত্মক সহযোগিতা করে যাবো।
 এলাকাবাসীর ধারণা নিঃসন্দেহে শিশু মিফতাকে নির্মম নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। মেয়েটির পরিবার অতীব গরীব হওয়ায় ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হতে পারে বলেও এলাকাবাসী জানান। সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন সাধারণ জনতা।

About Syed Enamul Huq

Leave a Reply