কক্সবাজার প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার পানির ছড়াবাজর এলাকা হতে দুর্ধর্ষ চিহ্নিত ডাকাত কালা সোনা (২৫)কে অস্ত্র ও গুলি সহ গ্রেফতার করেছে মহেশখালী থানা পুলিশ।
চিহ্নিত ডাকাত ও সন্ত্রাসী মোহাম্মদ জাইতুল ইসলাম ওরফে কালাসোনা (২৫) হোয়ানক পানির ছড়া ৯ নং ওয়ার্ডের মৃত জাফর আলমের পুত্র বলে জানা গেছে। জানা যায় গত ১৮/৫/২০২৩ তারিখে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সন্ধ্যা ছয় ঘটিকার সময় পানির ছড়া এলাকা থেকে সন্ত্রাসী কালাসোনাকে মহেশখালী থানা পুলিশ গ্রেফতার করে। গ্রেফতার হওয়ার পর পুলিশি অভিযানে এক পর্যায়ে স্বীকার করে যে, তার কাছে বা দখলে আগ্নেয়াস্ত্র আছে। তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে মহেশখালী থানার একটি বিশেষায়িত টিম অস্ত্র উদ্ধারের অভিযানে নামে। এক পর্যায়ে আজ দিবাগত রাত ২ ঘটিকার সময় উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে উক্ত আসামীর দেখানো মতে পানির ছড়া এলাকায় তার বসত বাড়ি হইতে একটি দেশীয় তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র এবং দুই রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। মহেশখালী থানা অফিসার ইনচার্জ প্রনব কুমার চৌধুরী জানিয়েছেন সন্ত্রাসী কালাসোনা লোহাগাড়া থানার ডাকাতি মামলার একজন চার্জশিট ভুক্ত আসামি এবং মহেশখালী থানার শাপলাপুর এলাকায় সংঘটিত ডাকাতি মামলায় ইতিপূর্বে গ্রেফতারকৃত আসামি কর্তৃক বিজ্ঞ আদালতে প্রদত্ত জবানবন্দিতে তার নাম রয়েছে এবং জিজ্ঞাসাবাদে উক্ত আসামী ডাকাতি মামলায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত বলে স্বীকার করে। তাছাড়াও তার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন মামলার দুইটি গ্রেফতারী পরোয়ানা পাওয়া গিয়েছে। উক্ত আসামীর বাঁশখালী, লোহাগাড়া, ফটিকছড়ি সহ বিভিন্ন এলাকার ডাকাতি কার্যক্রমের একটি সংঘবদ্ধ বাহিনী আছে এবং তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক জানা যায় বহুদিন ধরে সে ডাকাতি কার্যক্রমের সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। তার বিরুদ্ধে পৃথকভাবে অস্ত্র আইনে মামলা রেকর্ড করা হচ্ছে এবং বিজ্ঞ আদালতে বিধি মোতাবেক সোপর্দ করা হচ্ছে এবং মহেশখালী থানার ডাকাতি মামলায় তাকে রিমান্ডে নেওয়ার জন্য বিজ্ঞ আদালতে আবেদন প্রেরণ করা হচ্ছে। এদিকে কালাসোনার গ্রেফতারের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সাধারণ মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে আসে। এলাকাবাসি মহেশখালী থানা পুলিশকে সাধুবাদ জানায়। মহেশখালীর সাধারণ জনতার মাঝে কালাসোনা একটি আতঙ্কিত নাম ও ডাকাত হিসেবে পরিচিতি রয়েছে ।