মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
ভারতে হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তি ও চরম অবমাননাকর মন্তব্যের প্রতিবাদে বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়া সিলেট জেলা ও মহানগরীর উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (৮ জুন) বাদ আসর, সোবহানীঘাট হাজী নওয়াব আলী জামে মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে বের হয়ে মিছিলটি নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে কোর্টপয়েন্টে এসে এক সমাবেশে মিলিত হয়।
মিছিল পরবর্তী সমাবেশে বক্তারা বলেন, প্রিয়নবী (সা.) ছিলেন মহান চরিত্রের মূর্তপ্রতীক। তাঁর চরিত্রের গুণাবলী শুধুমাত্র মুসলমানদের জন্য নয় বরং পৃথিবীর সব ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের কাছে সুবিদিত। যার চারিত্রিক পবিত্রতা মহান আল্লাহ তাআলা স্বয়ং ঘোষণা করেছেন। তাঁর চারিত্রিক মাধুর্যতায় পৃথিবী বিখ্যাত মনীষীগণ তাঁর শ্রেষ্ঠত্ব স্বীকার করেছেন। অথচ সন্ত্রাসী সংগঠন আরএসএস এর মদদপুষ্ট বিজেপির দুই দায়িত্বশীল কর্তৃক মহানবী (সা.) সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য প্রদানের দুঃসাহস দেখিয়েছে, যা বিশ্বের মুসলমানদের হৃদয়ে আঘাত করেছে। এর প্রতিবাদে ফুঁসে ওঠেছে মুসলিম রাষ্ট্রগুলো। মস্তিষ্ক বিকৃত মানুষমাত্রই মহানবী (সা.)-কে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করে থাকে । ভারত সরকারের মদদে এরা যে ধৃষ্টতা দেখিয়েছে তা মুসলিম সম্প্রদায়কে হতবাক করেছে। অনতিবিলম্বে এই কটূক্তিকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায় ভারতকে বয়কট করবে।
বক্তারা আরো বলেন, বিশ্বের প্রায় সকল মুসলিম রাষ্ট্র এই ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানানোর পাশাপাশি ভারতীয় পণ্য বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অথচ ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশ হিসেবে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এখনো এর কোন প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি, যা এদেশের মুসলমানদেরকে ব্যথিত করেছে। বক্তারা অনতিবিলম্বে এ কটূক্তির প্রতিবাদ ও নিন্দা জানানোর জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান।
মিছিল পরবর্তী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আনজুমানে আল ইসলাহ’র মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা এ কে এম মনোওর আলী। প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ দুলাল আহমদ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মুজতবা হাসান চৌধুরী নুমান, বাংলাদেশ আনজুমানে আল ইসলাহ’র কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মাওলানা মঈনুল ইসলাম পারভেজ।
সংগঠনের সিলেট মহানগরীর সভাপতি এস এম মনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে মিছিল পরবর্তী সমাবেশে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আনজুমানে আল ইসলাহ’র কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদ হাসান চৌধুরী রায়হান, অর্থ সম্পাদক মাওলানা আবু সালেহ মো. কুতবুল আলম, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা নজমুল হুদা খান, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক উপাধ্যক্ষ মাওলানা সিরাজুল ইসলাম ফারুকী, সিলেট মহানগর আল ইসলাহ’র সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আজির উদ্দিন পাশা, সংগঠনের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা নজীর আহমদ হেলাল, মাওলানা বেলাল আহমদ, মাওলানা ফখরুল ইসলাম, মাওলানা রেদওয়ান আহমদ চৌধুরী, মাওলানা আখতার হোসাইন জাহেদ।
আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মাওলানা আতাউর রহমান, মাওলানা মুহিবুর রহমান, কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক সুলতান আহমদ, সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক মাওলানা উসমান গণি, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মনজুরুল করিম মহসিন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জাহেদুর রহমান, মাহবুবুর রহমান ফরহাদ, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক রেদ্বওয়ানুল হক শিমুল, সহ- প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম তালুকদার, অর্থ সম্পাদক আব্দুল জলিল, অফিস সম্পাদক হোসাইন মোহাম্মদ বাবু, সহ-অফিস সম্পাদক মাসরুর হাসান জাফরী, প্রশিক্ষণ সম্পাদক শেখ আলী হায়দার, স্কুল ও কলেজ বিষয়ক সম্পাদক রেদওয়ান রাশেদ, কেন্দ্রীয় সদস্য আবুল কাশেম, আবু সায়ীদ বখত নিয়াজী, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, সুনামগঞ্জ জেলার সভাপতি আব্দুল গণি সোহাগ, সিলেট (পশ্চিম) জেলার সভাপতি কবির আহমদ, সিলেট (পূর্ব) জেলার সভাপতি ইসলাম উদ্দিন চৌধুরী, ঢাকা মহানগরীর সভাপতি ইমাদ উদ্দিন, হবিগঞ্জ জেলার সভাপতি সাদেকুর রহমান সাদেক, শাবিপ্রবির সভাপতি গাউসুল আলম, সিলেট মহানগরীর সহ-সভাপতি আতিকুর রহমান সাকের, মারুফ আহমদ, সাধারণ সম্পাদক কাওছার হামিদ সাজু, সিলেট (পশ্চিম) জেলার সাধারণ সম্পাদক কুতুব আল ফরহাদ, সিলেট (পূর্ব) জেলার সাধারণ সম্পাদক রুহুল হুদা চৌধুরী রাহেল, শাবিপ্রবির সাধারণ সম্পাদক ইয়াহইয়া আহমদ, প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি জোন সিলেট’র সাধারণ সম্পাদক গুলজার আহমদ খান জামি প্রমুখ।