Friday , 22 November 2024
E- mail: news@dainiksakalbela.com/ sakalbela1997@gmail.com
ব্রেকিং নিউজ
মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ১২২ পদের ৫৪ পদই শূন্য

মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ১২২ পদের ৫৪ পদই শূন্য

মহম্মদপুর (মাগুরা) প্রতিনিধিঃ
জনবল সংকটে মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির ১২২ পদের ৫৪ পদ শূন্য। এতে চিকিৎসা সেবা চরম ভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। হাসপাতালে প্রায় সব পদে চিকিৎসক, নার্স, টেকনিশিয়ান সংকট রয়েছে। আবার হাসপাতালে চিকিৎসা সরঞ্জাম থাকার পরও শুধু দক্ষ জনবলের অভাবে তা কাজে লাগানো হচ্ছে না। এতে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এখানকার প্রান্তিক মানুষ। চারজন চিকিৎসক দিয়েই চলছে প্রায় দুই লাখ মানুষের চিকিৎসা সেবা।
মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পাঁচ বছর আগে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত হলেও বাড়েনি জনবল। ইউনানি ডেন্টালসহ মাত্র ৪ জন ডাক্তার প্রতিদিন সেবা দিচ্ছেন ৫ শতাধিক রোগীর। রোগীদের অতিরিক্ত চাপে রীতিমতো হাঁপিয়ে উঠেছে এখানকার ডাক্তাররা। অন্যদিকে শয্যা সংকট থাকার কারণে বাঁধ্য হয়েই মেঝেতে চিকিৎসা নিতে হয় অনেক রোগীকে।
মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রথম শ্রেণির ১০টি পদের মধ্যে কর্মরত পদের সংখ্যা চারজন। দ্বিতীয় শ্রেণির ২০ টি পদের মধ্যে ৬টি পদ খালি। তৃতীয় শ্রেণির ৭৩টি পদের মধ্যে কর্মরত ২৮ টি পদ খালি। চতুর্থ শ্রেণির ১৯টি পদের মধ্যে ১৪ পদ খালি রয়েছে। প্রথম শ্রেণির ১০টি পদের মধ্যে ৬টি পদ শূন্য থাকায় চিকিৎসাসেবার স্বাভাবিক কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
রোগীদের প্রায় সব ধরনের পরীক্ষা করাতে হয় প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। হাসপাতালের মূল্যবান যন্ত্রপাতি অব্যবহৃত থাকার ফলে একদিকে যেমন এসব যন্ত্রপাতি নষ্ট হচ্ছে, অন্যদিকে বেসরকারি ডায়াগনস্টিকগুলোর চলছে রমরমা বাণিজ্য। ফলে রোগীদের ব্যয় হচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা।
সরেজমিন গতকাল হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, বহির্বিভাগে শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিতে ভিড় করেছেন। ডা. মোকসেদুল মোমিন একা তাদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন।
এদিকে অবকাঠামো সুযোগ না থাকায় ৫০ শয্যার হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা হাসপাতালে বেড না পেয়ে বাধ্য হয়ে মেঝেতেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন রোগীরা। অন্যদিকে বেড সংকুলান না থাকায় অনেক রোগী মেঝেতে ঠাঁই না পেয়ে চিকিৎসা ছাড়াই বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন।
গাইনি বিভাগে চিকিৎসক না থাকায় রোগীদের পড়তে হয় নানা বিড়ম্বনায়। সাধারণ রোগীদের অভিযোগ, ঘণ্টার পর ঘণ্টা হাসপাতালে এসে বসে থাকলেও চিকিৎসকের দেখা পাচ্ছেন না তারা। চিকিৎসকের অভাবে প্রতিদিনই বিনা চিকিৎসায় ফিরে যাচ্ছেন রোগীরা।
স্বাস্থ্য সহকারী ও ভারপ্রাপ্ত পরিসংখ্যানবিদ মো. জাহিদ হাসান জানান, কনসালটেন্ট সার্জারি, কনসালটেন্ট মেডিসিন, কনসালটেন্ট গাইনি,কনসালটেন্ট এনেসথেসিয়া চারটি পদের সবগুলো পদ খালি রয়েছে। এ ছাড়াও মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ল্যাব তিনটি পদের পরির্বতে তিনটি খালি। একজন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ডেন্টাল তিনিও দীর্ঘদিন যাবৎ ঢাকাতে ডেপুটেশনে রয়েছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোকসেদুল মোমিন জানান, চিকিৎসক সংকটের বিষয়টি চিঠির মাধ্যমে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যা হাসপাতালের অনুমোদন হলেও অর্থ বরাদ্দ, লোক জনবল অধ্যবধি পর্যন্ত দেয়া হয়নি।

About Syed Enamul Huq

Leave a Reply