মহম্মদপুর উপজেলা প্রতিনিধি, মাগুরা।
মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলার বাবুখালী ইউনিয়নের রায়পুর গ্রামে শুক্রবার সন্ধ্যায় স্বামীর লাঠির আঘাতে মনিরা খাতুন (২০) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে।
নিহত মনিরা খাতুন বাবুখালী ইউনিয়নেৱ রায়পুর গ্রামেৱ হারুন মুন্সীর ছেলে জিয়া মুন্সীৱ স্ত্রী। ও একই ইউনিয়নেৱ কোমরপুর গ্রামের আরিফ মোল্লার মেয়ে।
নিহত মনিৱা খাতুনেৱ চাচা জানান ,বাবুখালী ইউনিয়নেৱ কোমরপুর গ্রামের আরিফ মোল্লার মেয়ে মনিরার সঙ্গে একই ইউনিয়নেৱ রায়পুর গ্রামেৱ হারুন মুন্সীর ছেলে জিয়া মুন্সীৱ সাথে গত ৪ মাস আগে বিবাহ হয়।
বিবাহের পর থেকেই মনিৱাকে স্বামী জিয়া এবং শশুৱ হারুন মুন্সী যৌতুকের টাকা দাবি করে নির্যাতন করে আসছিলো। গত ১ মাস পূর্বে যৌতুকেৱ টাকা দাবি করে মনিরাকে শারীক ও মানসীক নির্যাতন করে স্বামী এবং শশুর ।
পরে আমার ভাতিজি মনিৱাকে স্বামীর বাড়ি থেকে আমাদের বাড়িতে নিয়ে যায়। কিছুদিন পরে একটি আপস করে আবার আমৱা মনিরাকে স্বামীৱ বাড়িতে পাঠায়।
আজ সন্ধ্যায় আমৱা খবর পাই আমাৱ ভাতিজিকে মেৱে ফেলেছে । সেই খবর পেয়ে আমৱা ঘটনাস্থলে আসি । আমৱা সঠিক বিচার চাই ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যাক্তি জানান,গত ৪ মাস আগে মনিরার সঙ্গে জিয়াৱ বিয়ে হয়। এটা জিয়াৱ দ্বিতীয় বিবাহ ।বিয়ের পর থেকেই মনিৱাকে বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করতো স্বামী জিয়া এবং শশুৱ হারুন মুন্সী।
কি কারনে এই নির্যাতন করতো সেটা সকলেৱ জানাৱ বাহিরে। কিন্তু কিছুদিন আগে মনিরাকে বেধরক মারপিট করে একটি চোখ ক্ষত করে স্বামী জিয়া এবং শশুর হারুন।
আজ সন্ধ্যাৱ সময় স্বামী জিয়া কৃষি কাজ শেষে বাড়িতে এসে পারিবারিক কোলাহের জ্বেরে এক পর্যায়ে স্বামী জিয়ার লাঠির আঘাতে মনিরার মৃত্যু হয়।
তখন পরিবরের অন্যান্য সদস্যরা বাড়িতেই ছিলেন । পরে বিষয়টি জনাযানি হলে জিয়া সহ পরিবারের অন্যন্য সদস্যরা পালিয়ে যায়। বলে ঐ ব্যাক্তি জানান।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ৪ মাস আগে ও জিয়া ও মনিরা খাতুনের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বিবাদের এক পর্যায়ে লাঠি দিয়ে মনিরার মাথায় আঘাত করেন জিয়া।
এ সময় মাথা ফেটে মগজ বের হয়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলেই মনিরার মৃত্যু হয়। পরে স্থানীয়রা খবর দিলে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাগুরার মর্গে পাঠিয়েছে।
মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারক বিশ্বাস জানান, দাম্পত্য কোলাহল নিয়ে রাগারাগির এক পর্যায়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। মামলার পর তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।