টানা চারবার সরকার প্রধানের দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ শনিবার দুপুর ১২টায় দুই দিনের সফরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছেছেন। সকাল ৯টার কিছু সময় পর গণভবন থেকে সড়কপথে গোপালগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হন সরকারপ্রধান।
দুপুর ১২টায় টুঙ্গিপাড়া পৌঁছেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী।
এরপর নবগঠিত মন্ত্রিসভার সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে আবারো জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান শেখ হাসিনা।
এ সময় তিন বাহিনীর একটি চৌকস দল প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন।
এ ছাড়া নির্বাচিত সংসদ সদস্যরাও জাতির পিতার সমাধিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান। প্রধানমন্ত্রী ছোটবোন শেখ রেহানাকে সঙ্গে নিয়ে আলাদা করে দোয়া ও মোনাজাত করেন।
পরে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট জাতির পিতার পরিবারের শহীদ সদস্যদের আত্মার শান্তি কামনা করে দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী এবং নবনির্বাচিত মন্ত্রিসভার সদস্য ও সংসদ সদস্যরা।
এ সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যাটন মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুস সালাম, ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল ইসলাম. বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবীর নানক, স্বাস্থমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন, রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম, জনপ্রশাসন মন্ত্রী মো. ফরহাদ হোসেন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুর হাসান চৌধুরী, শেখ হেলাল উদ্দিন এমপি ও শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল এমপিসহ মন্ত্রিসভার সদস্য, প্রতিমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর পাঁচ উপদেষ্টা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমন উপলক্ষে জেলা আওয়ামী লীগ ও তাঁর নিজ নির্বাচনী এলাকার টুঙ্গিপাড়া এবং কোটালীপাড়া উপজেলার নেতাকর্মীরা সকাল থেকেই জাতির পিতার সমাধি সৌধ কমপ্লেক্স এলাকায় এসে হাজির হতে থাকেন তাঁদের প্রিয় নেত্রীকে স্বাগত জানানোর জন্য।
টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করে নিজ নির্বাচনী এলাকায় নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে আসাকে কেন্দ্র করে প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকার নেতাকর্মীদের মধ্যে আনন্দের বন্যা বয়ে যায়। প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন উজ্জ্বীবিত।
জেলাজুড়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। রাস্তায় রাস্তায় ব্যানার, ফেস্টুন ও গেট তৈরি করে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে টুঙ্গিপাড়া-কোটালীপাড়াসহ জেলার সর্বত্র ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে প্রশাসন। প্রধানমন্ত্রী দিনের প্রথম ভাগের কর্মসূচি শেষে দুপুরের বিশ্রামে পর বিকেল ৩টায় টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।
এদিন তিনি টুঙ্গিপাড়ায় রাত্রীযাপন করবেন এবং আগামীকাল রবিববার বেলা আড়াইটায় কোটালীপাড়ায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন এবং ওই দিন বিকেলে তিনি সড়ক পথে ঢাকার উদ্দেশে কোটালীপাড়া ত্যাগ করবেন।