উপজেলা (মণিরামপুর) প্রতিনিধিঃ
যশোর-৫ মণিরামপুর আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হাফেজ আলহাজ্ব ইয়াকুব আলীর ঈগল মার্কার সমর্থকদের ওপর নৌকা মার্কার সমর্থকদের হামলা ও নির্বাচনী অফিস ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে । এ ঘটনায় কমপক্ষে ১৫ জন মারাত্মক আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন ঈগল মার্কার সমর্থক ব্যবসায়ী তরিকুল ইসলাম,উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঝাঁপা ইউনিয়ন পরিষদের বার-বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান শামসুল হক মন্টুর ছোট ভাই টুটুল হোসেন, আব্দুস সালাম, রুবেল হোসেন, হোসেন আলী, মাহবুর রহমান, ইউসুফ আলী, মান্দার গাজী, মনিরুজ্জামান মনুসহ আরো অনেকে
আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
২৯ ডিসেম্বর শুক্রবার রাত আনুমানিক ৯টার দিকে ঝাঁপা দক্ষিণপাড়া মহিলা মাদ্রাসা সংলগ্ন ঈগল প্রতীকের অফিসে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এলাকায় উভয় পক্ষের মধ্যে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে।
স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক মারাত্মক আহত ব্যবসায়ী তরিকুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, দক্ষিণপাড়া মহিলা মাদ্রাসা সংলগ্ন ঈগল প্রতীকের অফিসে স্বতন্ত্র প্রার্থী হাফেজ আলহাজ্ব ইয়াকুব আলীর পক্ষে নির্বাচনী আলোচনা করছিলাম।
এসময় হঠাৎ নৌকার সমর্থক ঝাঁপা গ্রামের সিরাজুল ইসলাম সিরাজের নেতৃত্বে রাজগঞ্জের সোহেল রানা, শিমুল হোসেন, সালাউদ্দিন বাবলা, শরিফুল ইসলাম, সজল হোসেন, রয়েল ও মিজানসহ অজ্ঞাত ১৫/২০জন সন্ত্রাসীরা লোহার রড এবং রামদা নিয়ে তাদের উপর হামলা চালায়। এসময় তাদের কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে এবং ঈগল প্রতীকের নির্বাচনী অফিস ভাংচুর করে। স্বতন্ত্র প্রার্থী হাফেজ আলহাজ্ব ইয়াকুব আলী বলেন, ঈগল মার্কার জনপ্রিয়তা দেখে বেসামাল হয়ে পড়েছে নৌকার প্রার্থী ও তার কর্মী সমর্থকরা।
ঈগল মার্কার নির্বাচনী অফিস ভাংচুর এবং আমার কর্মী সমর্থকদের মারধর করে আতংক ছড়াতে চাচ্ছেন তারা। কিন্তু এসব করে তাদের কোন লাভ হবে না। বরং আগামী ৭ জানুয়ারি মণিরামপুরের জনগণ ঈগল মার্কার পক্ষেই রায় দিয়ে এ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের জবাব দিবে ইনশাআল্লাহ ।
আর এ সন্ত্রাসী হামলা ও ভাংচুরের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুতই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান এ স্বতন্ত্র প্রার্থী।
এদিকে এ হামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে ঈগল মার্কার কয়েক হাজার নেতাকর্মী রাজগঞ্জ চৌরাস্তা মোড়ে জড়ো হয়ে হামলাকারীদের আটকের দাবিতে মিছিল বের করে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দ্রুত ঘটনাস্থলে আসেন মণিরামপুর থানা ও রাজগঞ্জ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ সদস্যরা। রাত দশটার দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বিজিপি সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং ঘটনার সাথে জড়িতদের ২৪ ঘন্টার মধ্যে আটকের আশ্বাস দেওয়ার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
আজ শনিবার সকালে সন্ত্রাসী বাবলা ও আকাশ কে গ্রেফতার করে পুলিশ।