হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
হবিগঞ্জের বিভিন্ন সড়ক মহাসড়কে অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধ না হলে আগামী ২৮ নভেম্বরের মধ্যে বাস চলাচল স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে জেলার মটর মালিক গ্রুপ, জেলা বাস, মিনিবাস কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন সমন্বয় পরিষদের নেতৃবৃন্দ। নতুবা সকল বাস জেলা প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করা হবে। বুধবার ১৮ নভেম্বর হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ হুঁশিয়ারি প্রদান করেন।লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের সভাপতি মো. ফজলুর রহমান চৌধুরী বলেন, হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন সড়ক মহাসড়কে অবৈধ গণপরিবহণ চলাচল করছে। এমনকি হাইকোর্টের নির্দেশনা অমান্য করে মহাসড়কে সিএনজি অটোরিকশা চালিয়ে যাচ্ছে । তারা আরো বলেন, এসব পরিবহণ বন্ধের জন্য দীর্ঘদিন ধরে আমরা দাবি জানিয়ে আসছি। বিভিন্ন সময় বাস চলাচল বন্ধ করে কর্মবিরতি পালন করেছি। এ সময় প্রশাসনের লোকজন অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলেও বাস্তবে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।তিনি বলেন, এসব অবৈধ যানবাহনের কারণে দিনের পর দিন মোটা অংকের লোকসান গুণতে হচ্ছে বৈধ পরিবহণগুলোকে। অনেক পরিবহণের মালিক দেউলিয়া হওয়ার পথে। পাশাপাশি অবৈধ পরিবহণগুলোর বেপরোয়া চলাচলের কারণে প্রাণ দিতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। কিন্তু এরপরও তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। বাস শ্রমিকরা এ ব্যাপারে প্রতিবাদ করলে মারধরের শিকার হতে হয়।মো. ফজলুর রহমান চৌধুরী বলেন গত ১৪ অক্টোবর জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছি। কোন ব্যবস্থা না নেয়ার কারণে ২০ অক্টোবর বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়। এ সময় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার আমাদের আশ্বস্ত করেন ১ নভেম্বর থেকে অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া শুরু হবে। কিন্তু ১৮ দিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। যে কারণে বাধ্য হয়ে আমাদেরকে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ২৮ নভেম্বরের মধ্যে জেলার বিভিন্ন সড়ক মহাসড়কে অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধ না হলে ২৯ নভেম্বর থেকে বাস চলাচল স্থায়ীভাবে বন্ধ করে বাসগুলো জেলা প্রশাসকের কাছে হস্তান্তর করে দেয়া হবে।সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, হবিগঞ্জ জেলা বাস, মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন সমন্বয় পরিষদের সভাপতি মো. শহিদ উদ্দিন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মো. সজিব আলী।