চরফ্যাশন সংবাদাতাঃ ভোলা জেলার চরফ্যাসনের বেতুয়া লঞ্চঘাটে ঘাট টিকেটের নামে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ উঠেছে ইজারাদারের বিরুদ্ধে।
যাত্রী টিকেটের পাশাপাশি মালামাল উঠা-নামায় ২/৩গুণ বেশী টাকা আদায়ের অভিযোগ নিত্যনৈমিত্তিক।
ঘাট টোলের নামে অধিক মূল্যআদায়ের এই ঘটনা নিয়ে প্রতিদিন যাত্রীরা ঘাটের স্টাফ ও কুলি মজুরদের হাতে নাজেহাল হচ্ছেন।ইজারাদারের রাজনৈতিক ক্ষমতাকে ব্যবহার করে সাধারন যাত্রীদের জিম্মি করে এমন অপকর্ম দিনের পর দিন চলেই আসছে বলে যাত্রীরা অভিযোগ করেন।
জানাগেছে, চরফ্যাসনের লেতরা, ঘোষেরহাট এবং বেতুয়াঘাট থেকে প্রতিদিন ঢাকা-চরফ্যাসন ১১/১২টি যাত্রীবাহি লঞ্চ চলাচল করছে।এর মধ্যে কেবল বেতুয়াঘাট থেকে প্রতিদিন ৬টি লঞ্চ ঢাকা-চরফ্যাস-ঢাকা আসা-যাওয়া করছে। এই ঘাট দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার যাত্রী ও মালামাল পরিবহন হচ্ছে।
বেতুয়া ঘাট ইজারাদার অভ্যন্তরীন নৌ বন্দর কর্তৃপক্ষের নিয়ম নীতি উপেক্ষা করে যাত্রীপ্রতি ১০টাকা করে ঘাট টিকেটের নামে টোল এবং যাত্রীদের মালামাল উঠাতেও ২০ টাকার স্থলে ২শ টাকা ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। ইজারাদার নুরে আলম মাষ্টারের নির্দেশে বাড়তি এই টিকেটের হার নির্ধারন করা হয়েছে বলে ঘাট সংশ্লিষ্টরা বলছেন।
আবদুল্লাহপুর গ্রামের কামাল হোসেন অভিযোগ করেন, দেশের সব লঞ্চঘাটে যাত্রী উঠতে ৫টাকা ঘাট টিকেট দিতে হয়। ব্যতিক্রম কেবল চরফ্যাসনের বেতুয়াঘাটে।
এখানে যাত্রীপ্রতি ১০টাকা করে ঘাট টিকেট দিতে হচ্ছে। প্রতিবাদ করতে গেলে ইজারাদারের লোকজনের হাতে নাজেহাল হতে হচ্ছে লঞ্চ যাত্রীদের।
টিকেটের হার নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে গেলে প্রতিদিনই ২/৪ জন যাত্রী ঘাটস্টাফদের হাতে লাঞ্চিত হচ্ছেন। এছাড়া যাত্রীদের মালামাল উঠাতেও ২০ টাকার স্থলে ২শ টাকা ভাড়া দিতে হচ্ছে। যা দেশের কোথাও নেই বলে অভিযোগ করেন শশীভূষণের যাত্রী আফজাল উদ্দিন।
লঞ্চষ্টাফরা অভিযোগ করেন, পলন্টনের লঞ্চ ভিড়াতে গেলে ইজারাদারকে পুর্বে ৫শ টাকা দেয়া হতো। বর্তমান সময়ে ইজারাদার নুরে আলম মাষ্টারের লোকেরা জোর পুর্বক লঞ্চ প্রতি আরো এক হাজার টাকা আদায় করেন।প্রতিবাদ করতে গেলে লঞ্চ পল্টনে ভীড়তে দিবেনা বলে হুমকি দেয়।
অভিযোগ প্রসঙ্গে বেতুয়া লঞ্চঘাটের ইজারাদার মো. নুরে আলম জানান, করোনা কালে যাত্রীকম থাকায় যাত্রীপ্রতি ঘাট টিকেট ১০ টাকা করে আদায় করা হয়েছে। সারাদেশের সব ঘাটের সাথে তালমিলিয়ে এটা করা হয়েছে।
যাত্রীদের অভিযোগ ও ইজারাদারের বক্তব্য প্রসঙ্গে অভ্যন্তরীন নৌ – বন্দর ভোলার সহকারি পরিচালক কামরুজ্জামান জানান, ৫ টাকা করে ঘাট টিকেট নির্ধারন করা আছে।
বেশী নেয়ার সুযোগ নেই। অতিরিক্ত ভাড়া নেয়ার সুষ্পষ্ট অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষেসেসব ইজারাদারের ইজারা বাতিল করা হবে।