ভোলার ইলিশা-১ কূপটিকে দেশের ২৯তম গ্যাসক্ষেত্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। নতুন এই কূপে মজুদ প্রায় ২০০ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। দৈনিক গড়ে ২০ মিলিয়ন ঘনফুট করে গ্যাস উত্তোলন করা যাবে। সেই হিসাবে ২৫ থেকে ২৬ বছর গ্যাসক্ষেত্রটি থেকে গ্যাস পাওয়া যাবে।
আজ সোমবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ রাজধানীর বারিধারায় তার বাসভাবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ভূতাত্ত্বিক তথ্য এবং ডিএসটি রিপোর্ট অনুযায়ী, ইলিশা-১ কূপে গ্যাসের সম্ভাব্য মজুদ প্রায় ২০০ বিলিয়ন ঘনফুট (বিসিএফ)। দৈনিক গড় ২০ মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস উৎপাদন বিবেচনায় কূপটি থেকে ২৫-২৬ বছর গ্যাস উৎপাদন সম্ভব হবে। ইলিশা-১ কূপে গ্যাসের উল্লিখিত মজুদ বিবেচনায় গ্রাহক পর্যায়ে গ্যাসের আনুমানিক মূল্য প্রায় ৬ হাজার ৭৪৪ কোটি টাকা।
দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিতে এলএনজির বিদ্যমান মূল্য হিসাবে ইলিশা-১ কূপে গ্যাসের মজুদ (২০০ বিলিয়ন ঘনফুট) বিবেচনায় গ্যাসের আনুমানিক মূল্য প্রায় ২৬ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা।
সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, এটি হবে ভোলা জেলার তৃতীয় গ্যাসক্ষেত্র। অন্য দুটি হলো শাহবাজপুর ও ভোলা নর্থ গ্যাসক্ষেত্র। ভোলায় তিন গ্যাসক্ষেত্র (শাহজাদপুর, ভোলা নর্থ ও ইলিশা) মিলে ২ দশমিক ২৩ টিসিএফ গ্যাস মজুদ রয়েছে।
সেখান থেকে প্রতিদিন উত্তোলন সক্ষম ২০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস।
সম্প্রতি রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান গ্যাজপ্রম বাপেক্সের হয়ে কূপটি খনন করে। গত মার্চে ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা ইউনিয়নের মালের হাটসংলগ্ন এলাকায় খননকাজ শুরু হয়। তিন হাজার ৪৭৫ মিটার গভীর পর্যন্ত খননকাজ শেষ হয় ২৪ এপ্রিল।