ভোট চুরির সুযোগ না থাকায় বিএনপি নির্বাচনে আসেনি বলে মন্ত্রব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ২০০৮ সালে তারা পারেনি যার জন্য তাঁরা এখন সব সময় নির্বাচন বাতিল করতে চায়। ভোট চুরির অপরাধে এদেশের মানুষ খালেদা জিয়াকে ক্ষমতাচুত করেছিল। ২০০৬ সালেও তারা ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার করে ভোটচুরির চেষ্টা করেছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভোটচুরির অপরাধে যাদের দেশবাসী ক্ষমতাচ্যুত করে তাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা মানায় না। উন্নয়নের ধারা ধরে রাখতে হলে আওয়ামী লীগকে সরকার গঠন করে জনগণের কল্যাণ করতে হবে।
জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৭ জানুয়ারি নির্বাচন। জনগণ ভোট দিবে। ভোটের মালিক জনগণ। এটা তাদের সাংবিধানিক অধিকার। আমরা এটা উন্মুক্ত করেছি। আমাদের নৌকার প্রার্থীও আছে, স্বতন্ত্র প্রার্থীও আছে এবং অন্যান্য দলের প্রার্থীও আছে। প্রত্যেকে জনগণের কাছে যাবেন। জনগণ যাকে ভোট দিবে তিনি নির্বাচিত হবেন। কেউ কারো অধিকারে হস্তক্ষেপ করবেন না।
ভোটারদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, ভোটকেন্দ্রে কোনো সংঘাত মারামারি দেখতে চাই না। কেন্দ্রে সংঘাত হলে, আমার দলের কেউ করলে তার রেহাই নেই। তাদের বিরুদ্ধে আমি ব্যবস্থা নিবো। আমরা চাই জনগণ তার ভোটের অধিকার নির্বিঘ্নে প্রয়োগ করবে। তার যাকে খুশি তাকে ভোট দিবে। গণতন্ত্রকে আমাদের সুদৃঢ় করতে হবে। তা না হলে বাংলাদেশ ভবিষ্যতে শেষ হয়ে যাবে।
নৌকায় ভোট চেয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমি নৌকা মার্কায় ভোট চাই। নৌকা নুহ নবীর নৌকা। বিপদে মানুষের একমাত্র বাহন নৌকা। এখনো আমরা যতই বলি বন্যা হলে নৌকার প্রয়োজন হয়। এই নৌকায় ভোট দিয়ে দেশের মানুষ স্বাধীনতা পেয়েছে। এই নৌকায় ভোট দিয়ে মানুষ অর্থনৈতিক মুক্তি পেয়েছে। বাংলাদেশ আজকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। ক্ষুধা দারিদ্রমূক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ আমরা গড়ে দিবো। জনগণকে অনুরোধ করবো নৌকায় ভোট দিয়ে আমাদের সেবা করার সুযোগ দিন।