Saturday , 23 November 2024
E- mail: news@dainiksakalbela.com/ sakalbela1997@gmail.com
ব্রেকিং নিউজ
ভোটে মুখোমুখি সৈয়দ নজরুলের দুই সন্তান
--সংগৃহীত ছবি

ভোটে মুখোমুখি সৈয়দ নজরুলের দুই সন্তান

অনলাইন ডেস্কঃ

বোন আওয়ামী লীগ প্রার্থী। বড় ভাইও স্বতন্ত্র হিসেবে ভোটযুদ্ধে। কিশোরগঞ্জ-১ আসনে ভাই-বোনের ভোটযুদ্ধ এখন ব্যাপক আলোচনায়। এখানে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সংসদ সদস্য সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি।

তিনি দেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের মেয়ে। আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের (বড় ভাই) মৃত্যুর পর থেকে জাকিয়া এই আসনের এমপি। এবারও দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। কিন্তু মনোনয়ন পেলেও স্বতিতে নেই।
জানা গেছে, আওয়ামী লীগ প্রার্থী তাঁর দলীয় নেতাকর্মীদের একসঙ্গে পাশে পাচ্ছেন না।

দলীয় নেতাকর্মীরা বলছেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলাম রাজনীতিতে নতুন হলেও সৈয়দ পরিবারের সন্তান হিসেবে তাঁর যথেষ্ট গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। আর দলে দুই প্রার্থীকে নিয়ে বিভক্তি সৃষ্টি হওয়ায় তা থেকে সুবিধা আদায় করে নেবেন তিনি।

জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির একজন নেতা বলেন, ‘দলের নেতাকর্মীরা দলীয় ও স্বতন্ত্র প্রার্থীকে নিয়ে বেশ বিব্রত ও বেকায়দায় রয়েছেন। কারণ তাঁরা দুজনই সৈয়দ পরিবারের সন্তান। এ দুই প্রার্থী নির্বাচনে দলীয় নেতাকর্মীদের পাশে দেখতে চান। কিন্তু দলের পক্ষ থেকে নির্দেশনা না থাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থীকে মুখের ওপর না-ও করা যাচ্ছে না।’

জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র হিসেবে প্রার্থী হয়েছিলেন। তবে তিনি শেষ মুহূর্তে আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী, চাচাতো ভাই সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলামকে সমর্থন দিয়ে নিজের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। একই সঙ্গে তাঁর অনুসারীদের স্বতন্ত্র প্রার্থীর হয়ে কাজ করার আহবান জানিয়েছেন। এই প্রভাবশালী নেতা গত ১৭ ডিসেম্বর জেলা শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে সমাবেশ করে অনুগত কর্মীদের প্রতি এই নির্দেশনা দেন। তখন সেখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী চাচাতো ভাই সাফায়েতুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। প্রতীক বরাদ্দের পর তিনি ঈগলের প্রার্থীর পক্ষে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন।

এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘দলের নেতাকর্মীরা এখন মুক্তভাবে নির্বাচন করছেন। দলের কেন্দ্রীয় বা জেলা পর্যায় থেকে কোনো দিকনির্দেশনা নেই। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ যেভাবে আছে, আমরাও সেভাবে যার যার মতো কাজ করছি।’

সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি বলেন, ‘আমি যেসব উন্নয়নমূলক কাজ করেছি, ভোটাররা সেগুলোর বিচার-বিবেচনা করে ভোট দেবেন। আশা করি, এবারও ভোটাররা এমপি হিসেবে আমাকে বেছে নেবেন।’ স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলাম বলেন, ‘রাজনীতি পরিবারকেন্দ্রিক হয় না। এটি আদর্শের ভিত্তিতে চলে। আমার মনে হয়েছে, কিশোরগঞ্জের উন্নয়নসহ সার্বিক কর্মকাণ্ড সঠিকভাবে চলছে না। এ কারণে আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি। আমি নির্বাচিত হলে এলাকার উন্নয়ন সঠিক পথে পরিচালিত হবে।’

আসনটিতে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. আবদুল হাই লাঙল প্রতীকে নির্বাচন করছেন। এ প্রার্থী পেশায় চিকিৎসক। ‘গরিবের ডাক্তার’ হিসেবে তাঁর বেশ পরিচিতি রয়েছে। তা ছাড়া একবার কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।

কিশোরগঞ্জ-১ আসনে মোট সাতজন প্রার্থী থাকলেও এ তিনজন ছাড়া অন্য কোনো প্রার্থীর প্রচার-প্রচারণা চোখে পড়েনি। ওই সব প্রার্থীর পোস্টার-ব্যানার কিংবা নির্বাচনী অফিসও দেখা যায়নি। ওই প্রার্থীরা হলেন বাংলাদেশ কংগ্রেসের মোবারক হোসেন (ডাব), ইসলামী ঐক্যজোটের মো. আশরাফ উদ্দিন (মিনার), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. আনোয়ারুল কিবরিয়া (আম) ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের মো. আব্দুল আউয়াল (ছড়ি)।

কিশোরগঞ্জ-১ আসনে মোট ভোটার পাঁচ লাখ ১৩ হাজার ৯৭৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ দুই লাখ ৬০ হাজার ৪০৪ জন। নারী ভোটার দুই লাখ ৫৩ হাজার ৫৭১ জন।

About Syed Enamul Huq

Leave a Reply