অনলাইন ডেস্ক:
আগের নির্ধারিত দর থেকে খুচরা পর্যায়ে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারে আট টাকা কমিয়ে ১৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া বোতলজাত পাঁচ লিটার তেলের দাম ৩৫ টাকা কমিয়ে ৭৬০ টাকা করা হয়েছে। খোলা সয়াবিন তেলের দাম সাত টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩৬ টাকা।
গতকাল সচিবালয়ে তেল উৎপাদনকারী কম্পানিগুলোর কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
আজ সোমবার থেকে মিলগেটে এই মূল্য কার্যকর হবে। তবে ভোক্তা পর্যায়ে কার্যকর হতে আরো পাঁচ-ছয় দিন সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যসচিব।
এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম শফিকুজ্জামান বলেন, গতকাল ভোজ্য তেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বসে এই দর ঠিক করা হয়েছে। তবে আমদানি পর্যায়ে কর কমানোর প্রভাব ঈদের পর বাজারে পড়তে পারে।
গতকাল সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যসচিব জানান, বর্তমানে বাজারে তেলের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। তেলের কোনো সংকট নেই। নতুন দরে কবে থেকে তেল পাওয়া যাবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রিফাইনারি থেকে নতুন দামে তেল ছাড়া হবে সোমবার থেকে। বাজারে এটি কার্যকর হতে আরো পাঁচ-সাত দিন সময় লাগবে।
সংবাদ সম্মেলনে টিকে গ্রুপের পরিচালক মোহাম্মদ মোস্তফা হায়দার বলেন, এখন যে তেল আমদানি করা হয়েছে, তার ট্যাক্স, ভ্যাট আগের হারেই দিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাজারে তেলের দাম কমানোর ফলে ওই ট্যাক্স, ভ্যাট রিফান্ড করার অনুরোধ করেন তিনি।
আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্য তেলের দর বাড়ার প্রভাবে অস্থির হয়ে ওঠে দেশের বাজার। এই প্রেক্ষাপটে সরকার ভোজ্য তেলের ওপর থেকে ভ্যাট ও কর প্রত্যাহার করে নেয়। কিন্তু বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে, এর প্রভাব পড়তে এক মাসের বেশি সময় লাগবে।
এর আগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে বোতলজাত প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের মূল্য ১৬৮ টাকা এবং পাঁচ লিটারের বোতল ৭৯৫ টাকা নির্ধারণ করেছিল। আর খোলা তেলের মূল্য নির্ধারণ করেছিল প্রতি লিটার ১৪৩ টাকা।
সূত্র: কালের কন্ঠ অনলাইন