স্টাফ রিপোটার : বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ নোয়াখালি জেলা সভাপতি মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন ভূমি দুস্য জয়নাল আবদিনের সন্ত্রাস ও কালো থাবা থেকে মুক্তি পেতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সোমবার (১৮ জানুয়ারি) ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন (ক্র্যাব) মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আবেদন জানান।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি গত ১২/০১/২০২১ইং তারিখ রাত ১০.০০ঘটিকার সময় ১৫/২০জন সন্ত্রাসী আমার জায়গা জমি সংক্রান্ত প্রতিপক্ষ ভূমি দুস্য জয়নাল আবদিন এর বাড়ীতে আসে। তখন আমার পাশের বাড়ীর মৃত তাহেরের ছেলে মাইনউদ্দিন আমাকে ফোন করে বলে কাকা জয়নাল আবদিন মুন্সির চোরার বাড়ীতে অস্ত্র সহ ১৫/২০ জন সন্ত্রাসী ঢুকেছে জয়নাল আবদিন কে এলাকার লোক মুন্সিয়া চোরানামে চিনে। তখন আমি মাইন উদ্দিনকে আমার বাড়ীতে আসার জন্য বলি। সঙ্গে সঙ্গে মাইনউদ্দিন এর বাড়ী ৪/৫ লোক নিয়ে আসতে বলি। কারণ এই ছেলে মিথ্যা সংবাদ দিলো কি না যাচাই করার জন্য।
তিনি বলেন, সকলে মিলিয়া আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিলাম থানায় খবর জানানো উচিৎ পরে তাড়াতাড়ি আসার জন্য ৯৯৯ এ ফোন করি। ৯৯৯ যিনি ফোন রিসিভ করে তিনি আমাকে বলেন সংবাদ সত্যি কিনা তখন আমি বলি হ্যা সত্যি। তখন ৯৯৯ নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানাকে জানায় থানার এ এস আই শাহিন সাহেব বলে আমি এখন স্থানীয় জমিদার হাটবাজারে আছি আসতে ১ ঘন্টা সময় লাগবে তখন পাবো কি না আমি বললাম পাবেন। তিনি বললেন আপনি থাকবেন আমি বলি থাকবো। তিনি রাত্র আনুমানিক ১১.৩০ মিনিটে জয়নাল আবদিনে বাড়ীতে আসলো। আমরা ৫/৬ জন সামনে দাঁড়াইলাম শাহীন সাহেব ঐ বাড়ীতে গেলো সেখান থেকে এসে বলে ওখানে সন্ত্রাসী নাই আপনি আমার সাথে থানায় চলেন। আমি বললাম আমাদের সামনে এটা জয়নাল এর জামাইয়ের ঘর এটাও দেখেন তিনি বললো এখানেও নেই। আপনি আমাদের সাথে চলেন থানায় তখন আমি নিরুপায় হইয়া পুলিশের গাড়ীতে উঠি।
তিনি আরো বলেন, থানায় নিয়া আমাকে ডিউটি অফিসারকে বুঝাইয়া দেয়,এরপর সারারাত্র থানায় থাকি। সকালে ফজরের সময় আমি বলি আমার প্রশ্রাব ধরেছে আমি প্রশ্রাব করবো এবংঅজু করে নামাজ পড়বো। ডিউটি অফিসার বলে সকাল ৮টা ছাড়া খোলা যাবে না। আমি তখন বিনা অজুতে নামাজ পড়ি। প্রশ্রাবের যন্ত্রণায় শুধু পায়চারী করি। পরে ৮ টার সময় অন্য ডিওটি অফিসার আসলে আমি বলার পর তিনি একজন পুলিশকে দিয়ে আমাকে ওয়াস রুমে পাঠায় কাজ সেরে আমি আল্লাহ শোকরিয়া আদায় করি। তারপর আমাকে চালান দেওয়ার জন্য কাগজপত্র রেডি করে। তখন আমার বড় ভায়েরা চৌমুহনী বাজারে ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জনাব আবুল খায়ের আমাকে চালান না দেওয়া জন্য থানায় ওসি সাহেবকে বলে আমার ছোট ভায়রা দয়া করে ছেড়েদিন।
বেলায়েত হোসেন বলেন, ওসি সাহেব বলেন উপরের নির্দেশ আছে, ছাড়া যাবেনা। তখন আমার ভায়রাভাই বেগমগঞ্জ সার্কেল এসপিকে ফোন করলে ওসি সাহেব আমাকে মুছলেকা নিয়ে ছেড়ে দেন। থানা থেকে বাড়ী আসার পর আসরের নামাজ পড়ি। ঘর থেকে দরজার দিকে তাকাইলে চোখে পড়ে সেই এক করুন দৃশ্য। যে সন্ত্রাসীর সংবাদ দেওয়ার জন্য আমাকে থানা হাজতে যেতে হয় তারা স্থানীয় ইয়াবা ব্যবসায়ী। সবুজ এর নেতৃত্বে ওরা ১৩জন প্রকাশ্যে অস্ত্র প্রদর্শন করে। আমার বাড়ির সামনে দিয়ে চলে যায়, যাকে কয়েকবার ডিবি পুলিশ ইয়াবা এবং জাল টাকাসহ ধরে নিয়ে যায়। তখন মমতাজের গানের কথা মনে পড়ে বুকটা ফাইটা যায়। হাইটা যায় বুকটা ফাইটা যায়। আমার করার কিছু ছিলনা চেয়ে চেয়ে দেখলাম। কারণ থানার ওসি সাহেব মুচলেকা নেওয়ার সময় বলছে যদি বাড়ী যাইয়া কিছু করোস তাহালে সাথে সাথে ধরে নিয়ে আসবো। এলাকার লোকজন বলে আমরা এখন এলাকাবাসী সন্ত্রাসীদেরকে ঘিরে ধরে থানায় সোপর্দ করি। আমি তখন এলাকার লোকদের নিষেধ করি। কারণ একবার প্রশ্রাবে কষ্ট করেছি, এবার পায়খানা বন্ধ হইয়া যাইবো।
তিনি বলেন, সাংবাদিক ভাইয়েরা আমার কি দোষ আমি বুঝিনা দয়া করে আপনারা একটু ক্ষতিয়ে দেখুন। এ ব্যাপরে পুলিশের আইজিপি, স্বরাষ্ট্র সচিব, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
বিঃ দ্রঃ অঝও শাহীন সাহেব লোক মুখে শুনা যায় তিনি নাকী উওএ সাহেবের মত ভাব দেখায় এবং আরো শুনা যায় তাকে উওএ শাহীন বলে। এবং নোয়াখালী জেলা পুলিশের কোন এক উর্দ্ধতন কর্মকর্তা সাহেবের এলাকার লোক বলেই সে এই রকমভাব দেখায়। সত্যি কি না জানিনা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ ভাইস চেয়ারম্যান স্বপন কুমার সাহা, দৈনিক মুক্তখবর সাব এডিটর কাজী ফারুক, বেগমগঞ্জ উপজেলার ১৫ নং শরিফপুর ইউনিয়ন ৬নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য জাহানারা খানম, ৬ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য অলিউল্লাহ মিয়া প্রমুখ।