উখিয়া প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে স্বেচ্ছায় যেতে ইচ্ছুক ৪৮৩ পরিবারের আরও ১৩০০ জন রোহিঙ্গাকে বহনকারী ৩০ বাস নোয়াখালীর ভাসানচরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছে।
রবিবার ( ৩০ জানুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে উখিয়া ডিগ্রি কলেজের মাঠ থেকে ভাসানচরের উদ্দেশে চট্রগ্রামে রওয়ানা হন মিয়ানমারে বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া এসব রোহিঙ্গা। এর আগে সকাল থেকেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরাপত্তার মাধ্যমে রোহিঙ্গারা উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠে আসতে থাকেন। ১০ম দফায় এবার প্রায় ১৩’শ রোহিঙ্গা ভাসানচরে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ১৪ এপিবিএন অধিনায়ক এসপি মোঃ নাইমুল হক।
অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মোহাম্মদ সামছু-দৌজা জানান, এবার প্রথম দফায় ৭১৮রোহিঙ্গা ভাসানচরে উদ্দেশে চট্রগ্রামে রওনা করে দুপুরের পর ২য় দফায় আরোও ৫৭০জন সহ প্রায় ১৩শত জন রোহিঙ্গা বিকেলের দিকে রওয়ানা হয়েছে। সোমবার দুপুরে ওই দ্বীপে পৌঁছার কথা রয়েছে তাদের।
এ বিষয়ে ভাসানচরে অবস্থানরত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের প্রতিনিধি (সিআইসি) জহিরুল ইসলাম বলেন, ভাসানচরের উদ্দেশে ৭১৮ রোহিঙ্গা উখিয়া থেকে যাত্রা করেছে। আরও কিছু রোহিঙ্গা আসার কথা রয়েছে।
এদিকে গত বছরের ডিসেম্বর থেকে ৯ম দফায় ২০ হাজার রোহিঙ্গাকে সরকার ভাসানচরে পাঠায়। এছাড়া গত বছর মে মাসে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টা করা ৩০৬ রোহিঙ্গাকে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করে সেখানে নিয়ে রাখা হয়।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে রোহিঙ্গা স্থানান্তরের জন্য সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ৩ হাজার ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ১৩ হাজার একর আয়তনের ওই চরে এক লাখ রোহিঙ্গা বসবাসের উপযোগী ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। ভাসানচরের পুরো আবাসন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী।
এদিকে বিষয়ে ৮-এপিবিএন’র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরান হোসেন জানান, ক্যাম্প গুলো থেকে ৭১৮জন রোহিঙ্গা এবারে ভাসানচরে যেতে রাজি হওয়ায় তাদের উখিয়া কলেজ মাঠে পাঠানো হয়।বিকেলে আরোও বেশ কিছু রোহিঙ্গা সেখান থেকে রওয়ানা দেবে।তারা দুই দফায় বাসে করে রওয়ানা দিয়েছে।