ভাষা শহীদদের প্রতি সম্মান জানিয়ে ভাষা আন্দোলনের মাস ফেব্রুয়ারির প্রথম দিন বাংলায় একটি মামলার রায় ঘোষণা করেছেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ। আজ বুধবার বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ অর্পিত সম্পতিসংক্রান্ত ‘মো. আক্কাস আলী ওরফে আলিমুদ্দিন বনাম বাংলাদেশ এবং অন্যান্য’ মামলার রায় বাংলায় দেন।
আদালতে এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত। রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. শরিফুল ইসলাম। রায় ঘোষণার আগে বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি নাইমা হায়দার বলেন, ‘আজ ১ ফেব্রুয়ারি। ভাষার মাস আজ থেকে শুরু। ভাষা শহীদদের আত্মার প্রতি সম্মান জানিয়ে, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রতি সম্মান জানিয়ে আজকের প্রথম রায়টি বাংলায় ঘোষণা করছি। বিশ্বের সব বাংলা ভাষাভাষীর প্রতি সম্মান জানিয়ে বাংলায় এ রায় ঘোষণা করছি।’
উচ্চ আদালতে নব্বইয়ের দশক থেকে বাংলায় রায় ও আদেশ দেওয়া শুরু হয়। প্রয়াত বিচারপতি এ আর এম আমীরুল ইসলাম চৌধুরী বাংলায় আদেশ দেওয়া শুরু করেন। এরপর সাবেক বিচারপতিদের মধ্যে বিচারপতি কাজী এবাদুল হক, বিচারপতি হামিদুল হক, বিচারপতি আবদুল কুদ্দুছ, সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক, আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বাংলায় বেশ কয়েকটি রায় দেন।
বর্তমানে আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকী, বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম হাইকোর্টে থাকাকালীন বেশ কয়েকটি মামলার রায় বাংলায় দিয়েছেন। আর নিয়োগ পাওয়ার পর ২০১০ সালের এপ্রিল থেকে বাংলায় রায় দিয়ে যাচ্ছেন হাইকোর্টের বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন। বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালও বাংলায় রায় লেখেন। চার বছর আগে দেশের সব নদীকে আইনি অধিকার দিয়ে ‘জীবন্ত সত্তা’ ঘোষণার রায়টি লিখেছেন বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল। সর্বশেষ গত বছর ‘চেক প্রত্যাখ্যান’ মামলার রায় বাংলায় দিয়েছেন এ বিচারপতি।