অনলাইন ডেস্কঃ
ব্রিটিশ এমপিদের একটি সর্বদলীয় সংসদীয় দলকে কাশ্মীর ভ্রমণের জন্য ৩০ লাখ রুপি উপহার দিয়েছে পাকিস্তান সরকার। যাতে করে তাঁরা পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীর পরিদর্শন করে ভারতীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে মিথ্যা বর্ণনা করেন। সম্প্রতি বিষয়টি গণমাধ্যমে ফাঁস হয়ে গেছে। এমনকি অর্থ গ্রহণের রসিদও গোপন রাখা যায়নি।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির ১৮ থেকে ২২ তারিখ পর্যন্ত ১৭ সদস্যের এই ব্রিটিশ সংসদীয় দল পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদ এবং পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর সফর করে।
এই পরিদর্শক দলের নেতৃত্বে ছিলেন বিরোধী দল লেবার পার্টি থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ডেবি আব্রাহামস। যিনি এর আগে নিজের ই-ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে ভারতে প্রত্যাখ্যাত হয়েছিলেন বলে জানা গেছে।
চলতি বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি তিনি নিজের পিআইও সংসদীয় সহযোগী হারপ্রিট উপলকে নিয়ে দিল্লি ভ্রমণে এসেছিলেন। কিন্তু পরে তাঁকে ভারত ছেড়ে দুবাই গিয়ে থাকতে হয় ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে। তাঁকে দিল্লি বিমানবন্দরে জানানো হয়েছিল, তাঁর ই-ভিসা বৈধ নয় এবং এ ক্ষেত্রে দেশে প্রবেশ করা যাবে না।
প্রতিবেদন মতে, দুবাই থেকে পরের দিন ডেবি আব্রাহামস পাকিস্তান গিয়েছিলেন এবং প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। ভারতের বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেছিলেন। সেখানে তিনি আর্থিক সুবিধাও পেয়েছিলেন বলে জানা গেছে।
গণমাধ্যমের হাতে আসা ইমরান খান সরকারের পক্ষ থেকে ব্রিটিশ এমপিদের সর্বদলীয় সংসদীয় কাশ্মীর গ্রুপের (এপিপিজিকে) সদস্যদের দেওয়া অর্থ গ্রহণের ‘রসিদ’ মূল্যায়ন করে দেখা গেছে, এপিপিজিকে দলকে ইমরান খান সরকার প্রায় ২৯ লাখ ৭০ হাজার পাকিস্তানি রুপি আর্থিক সুবিধা দিয়েছে আজাদ কশ্মীর পরিদর্শনে। এরপর দলটি গত ১৮ থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর পরিদর্শন করেছে।
ইমরান সরকারের এই অর্থ সুবিধা দেওয়ার উদ্দেশ্য ছিল, আলোচেনার মাধ্যমে কাশ্মীরি জনগণের স্ব-সিদ্ধান্তের অধিকারকে সমর্থন করা, এ ক্ষেত্রে ব্রিটিশ সংসদ সদস্যদের কাছ থেকে সমর্থন চাওয়া, কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরা এবং জনগণের জন্য ন্যায়বিচার চাওয়া। এ ছাড়া উদ্দেশ্য ছিল ভারতীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে মিথ্যা বর্ণনা করা।
সূত্র : ইন্ডিয়া টাইমস।