ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট দেশ থেকে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়া শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করতে ফেরানোর বিষয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আলোচনা হলেও চূড়ান্ত কিছু হয়নি বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এম তৌহিদ হোসেন।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সংবাদ ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
সম্প্রতি থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের সাইডলাইনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠক হয়। সেখানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত নিয়ে কী আলোচনা হয়েছে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, বৈঠকে বিষয়টি উত্থাপিত হয়েছে, তবে চূড়ান্ত কোনো কিছু হয়নি।
বৈঠকে ভারতের পক্ষ থেকে নির্বাচন অনুষ্ঠানের তাগিদ দেওয়া হয়েছে কি না, জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ‘দায়িত্ব পালন শেষ করে শিগগিরই নির্বাচন দেওয়াই আমাদের অঙ্গীকার। তবে টেবিলটকে আলোচনায় তারা জানতেই পারেন। এটা স্বাভাবিক।’
ভারতের ভিসা বন্ধের বিষয়ে এক প্রশ্নে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘ভিসা দেওয়াটা তাদের বিষয়।
আমরাও সাময়িকভাবে সেই দেশে ভিসা বন্ধ করেছিলাম। তবে কোনো দেশের ভিসা বন্ধ হলে শূন্যতা থাকে না। মানুষ অন্য দেশে সমাধান খুঁজে নেয়।’অপর এক প্রশ্নের জবাবে তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘থাইল্যান্ডের বৈঠকে এক লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনযোগ্য, এটা মায়ানমার ক্লিয়ার বলেছে।
বাকি তালিকা তারা রিভিউ করছে। তবে বাস্তব অবস্থা আপনাদের বুঝতে হবে। এই মুহূর্তে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন করা সম্ভব নয়।’ইতালির ভিসা পেতে বাংলাদেশিরা বিক্ষোভ করছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘ইতালির ভিসা নিয়ে দেশটির সঙ্গে অব্যাহতভাবে আলোচনা করছি।
তবে ভিসা পেতে যেসব ডকুমেন্ট দেওয়া হয়, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। ইতালির ভিসার জন্য অনেক অবৈধ কাগজপত্র দেওয়া হয়। তারা (ইতালি) দেখছে, আসলেই সেই কাগজপত্র ঠিক আছে কি না। অনেক লোকজনের কাগজপত্র জেনুইন আছে, তারাও এখন এই অবস্থায় ভিসার জন্য ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।’