স্টাফ রিপোর্টারঃপাবনার ভাঙ্গুড়ায় ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের এলজিএসপি প্রকল্পে কাজ না করে টাকা হরিলুটের অভিযোগ উঠেছে খানমরিচ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃআছাদুর রহমানের বিরুদ্ধে। এখানে কয়ড়া ছারা-নাসির আলী মমাদ্রাসায় ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ২টি টয়লেট নির্মাণের জন্য ২লাক্ষ ১হাজার ২শ ৯৯টাকা বরাদ্ধ হয়। কিন্তু ইউপি চেয়ারম্যান ওই ওয়ার্ডের মেম্বার মোঃ জিন্না বে আইনি শক্তির দাপটে কাজ না করে বিলের পুরো টাকা উত্তোলন করে নিয়েছেন।
জানাযায়, ২০১৮-১৯ অথর্ বছরে ভাঙ্গুড়া উপজেলার খান মরিচ ইউনিয়নে ৪টি প্রকল্পে ১০লক্ষ ৫২হাজার ৫৯৮টাকা বরাদ্ধ দেওয়া হয়।বিধি অনুযায়ী, মাইকিং করে সভা আহবান করে ও ওয়ার্ড পর্যায়ে কমিটি গঠনের মাধ্যমে জনসাধারণের মতামতের ভিত্তিতে প্রকল্প গ্রহণ করার কথা, কিন্তু তা করা হয়নি।
সরেজমিন দেখা গেছে, ২লাক্ষ ১হাজার ২শ ৯৯টাকা ব্যয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ২টি টয়লেট পূর্ন নির্মাণে বরাদ্ধ থাকলেও ইউপি চেয়ারম্যান ও ওই ওয়ার্ডের মেম্বার মোঃজিন্নাকে সঙ্গে নিয়ে ঐই প্রতিষ্ঠানের পুরাতন টয়লেট রং করে প্রকল্পের টাকা হাতিয়ে নেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাদ্রাসার কর্মচারী জানান ,টয়লেটটি পুরাতন এবার শুধু রং করা হয়েছে।
এ বিষয়ে কয়ড়া ছারা-নাসির আলীম মাদ্রাসায় সুপার মোঃআনছার আলীর কাছে জানতে চাইলে,তিনি উত্তর এড়িয়ে যান। তবে ওই গ্রামের লোকজনের সাথে আলাপ করে জানা গেছে এর আগে ও ইউপি চেয়ারম্যান সুপারকে দিয়ে ভুয়া প্রকল্প করিয়ে টাকা হরিলুট করেছেন।
খানমরিচ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আছাদুর রহমান প্রকল্পের টাকা হরিলুটের কথা উড়িয়ে দিয়ে বলেন, ‘‘টয়লেট নির্মাণ করিনাই সত্য কিন্তু এই টাকা আমি অন্য প্রকল্পে ব্যবহার করেছি’’। এক প্রকল্পের টাকাঅন্য প্রকল্পে ব্যবহার করার নিয়ম আছে কি ? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, নিয়ম নেই কিন্তু কাজ করার সময় অনিয়ম হয়ে যায়।
প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ আশরাফুজ্জামান বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।উল্লেখ্য,ওই ইউনিয়ন চেয়ারম্যান একের পর এক অন্যায় করেও পার পেয়ে যাচ্ছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও প্রতিবারই এরকম বক্তব্যই দেন। পরে আর কিছুই হয়না। ফলে জনমনে নানা প্রশ্নের উদ্রেক করেছে !