ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন এলাকায় হঠাৎ করেই ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে। গত ২ দিনে জেলা সদর হাসপাতালে দুই শতাধিক রোগী ভর্তি হয়েছেন।
এতে সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও নার্সরা। চিকিৎসকরা বলছেন, সুস্থ থাকতে বিশুদ্ধ পানি পানের পাশাপাশি বাসি খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
শুক্রবার থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্ষন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে বা জেলা সদর হাসপাতালে ৩০০ শিশু ও বয়স্ক ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়েছেন। যার মধ্যে বয়স্কর চেয়ে শিশু চারগুণ। সদর হাসপাতালের বেড কিংবা মেঝেতে যেন ঠাঁই নেই।
নারী, শিশু ও বয়স্ক রোগীরা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে সেবা নিচ্ছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছে প্রায় দেড় শতাধিক রোগী।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে বেড কিংবা মেঝেতে জায়গা নেই। এমন কি মেডিসিন ও অর্থোপিডিক্স ওয়ার্ডের প্রধান ফটকটিও ডায়রিয়া রোগীর দখলে। প্রতিনিয়ত হাসপাতালে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হচ্ছে শিশু ও বয়স্ক-নারী রোগীরা।
জেলা শহরের বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে আসছেন ডায়রিয়া রোগীরা। আসন সংখ্যা সীমিত হওয়ায় রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। যে কারণে কাঙ্খিত সেবা পাচ্ছেন না রোগীরা। রোগীর স্বজনরা জানান, বাড়তি রোগীর কারণে ঠিকমত সেবা দিতে পারছেন না চিকিৎসক ও নার্সরা। প্রতি বছরেই শীতের শুরুতে নানান কারণে এ সমস্যা দেখা দেয় বলে মনে করেন চিকিৎসকরা।
ডায়রিয়ায় আক্রান্ত এক রোগী জানান, গতকাল সন্ধ্যার দিকে ডায়রিয়া নিয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি হই। মনে করেছি ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু সুস্থ না হওয়ার কারণে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের ইমার্জেন্সি মেডিক্যাল অফিসার ফাইজুর রহমান ফয়েজ জানান, পানিবাহিত কারণে এ সমস্যা দেখা দিয়েছে। যারা এখন পর্যন্ত সুস্থ আছেন তাদের বিশুদ্ধ পানি পানের পাশাপাশি এড়িতে চলতে হবে বাসি খাবার।
সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, হাসপাতালে রোগীর চাপ বাড়লেও তাদের সেবার জন্য আছে পর্যাপ্ত ঔষধ ও স্যালাইন। এ পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারবো বলে আশা করছি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে গত ২০ নভেম্বর সকাল থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৩শ শিশু ও বয়স্ক রোগী। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১১০ জন ডায়রিয়া রোগী।