ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অজ্ঞাতনামা ও পরিচয়হীনতা লাশ দাফনকাজ করার একমাত্র যায়গা মেড্ডা তিতাস পাড়ের কবরস্থান। কবরস্থানটি নিচু জায়গায় হওয়ায় বৃষ্টি হলে পানি জমে যেত। দীর্ঘদিন যাবত ব্রাহ্মণবাড়িয়া একমাত্র বেওয়ারিশ লাশ দাফনকারি সংগঠন ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাতিঘর’ ও সংগঠননের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আজহার উদ্দিন কবরস্থানটিতে মাটি ফেলে উঁচু করে দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছিল। কিন্তু কেউ তাতে সারা দেয়নি। ফলে গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও বন্যার পানিতে কবরস্থানে পানি জমে তলিয়ে গেছে। আজকে ৪৯তম বেওয়ারিশ লাশ কবর দিতে গিয়ে অবস্থা দেখে কান্নায় ভেঙে পড়ে ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘর’ এর প্রতিষ্ঠাতাসহ সদস্যরা৷ পরে উপায় না দেখে ছোট্র একটি জায়গায় মরদেহটি কবর দেওয়া হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘরের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আজহার উদ্দিনের নেতৃত্বে ৪৯ টি বেওয়ারিশ লাশ দাফনকাজ সম্পন্ন করেছে।
বাতিঘরের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আজহার উদ্দিন জানান, বেওয়ারিশ লাশের কবরস্থানে মাটির ফেয়ার জন্য প্রায়ই ছয় মাস যাবত ফেসবুকে দাবি জানিয়ে যাচ্ছি। কেউ কোন ধরনের সহযোগিতা করতে এগিয়ে আসেনি। ৪৯তম বেওয়ারিশ লাশ দাফনকাজ করতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। কারন কবরস্থানে কোন যায়গা ছিল যেন বেওয়ারিশ লাশটি দাফনকাজ করবে। পুরো কবরস্থান বৃষ্টি ও বন্যার পানিতে তুলিয়ে গেছে৷
তিনি আরও বলেন, পানি চলে যাওয়ার সাথে সাথেই যেন মাটি ফেলা যায়, সেজন্য সবাইকে বাতিঘরের পাশে দাঁড়াতে হবে। কবরস্থানে যে-কেউ এক ট্রাক করে মাটি ফেললে কবর স্থানটি উঁচু হবে৷ তখন বৃষ্টি বা বন্যার পানিতে কবরস্থানটির কিছু হবে না। প্রতিটি মানুষ তার নিজনিজ দায়বদ্ধতা থেকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে পারেন।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার রাতে আখাউড়া আজিমপুরে ট্রেনে কাটে পড়ে ৫০ বছর বয়সী অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি মারা গিয়েছিল। দু’দিন হয়ে গেলোও তার পরিচয় পাওয়া যায়নি। আজ বৃহস্পতিবার বাদ আসর বাতিঘরের সদস্যরা ৪৯তম বেওয়ারিশ লাশটি দাফনকাজ করেন।