ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি।।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের কাজীপাড়ায় গোসল করতে গিয়ে পুকুরের পানিতে ডুবে সুজন (১৮) নামের একজন অটোরিকশা চালকের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে কাজীপাড়ার কাজী মাহমুদ শাহ মাজারের পুকুরে ডুবে মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটেছে।
সুজন জেলা শহরের কাজীপাড়া ধোপাবাড়ি মোড়ের জাহের মিয়ার ছেলে। সে তার বাবার একটি অটোরিকশা চালাতো।
প্রত্যক্ষদর্শী ও হাসপাতাল সুত্রে জানা যায়, আজকে রাত ১০টার দিকে সুজন কাজীপাড়া এলাকার দরগা হাটি কাজী মাহমুদ শাহ মাজারের পুকুরের ছোট ঘাটলায় গোসল করতে যায়। ওইসময় সে ঘাটলা থেকে লাফ দিয়ে পানির তলদেশে নিখোঁজ হয়ে যায়। তারপর মো. সাকিবসহ আরও তিন-চার জন যুবক মিলে পানির তলদেশ থেকে সুজনকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। সুজনকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আরিফুজ্জামান হিমেল তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হাসপাতালে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আরিফুজ্জামান হিমেল সুজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে জানান, সুজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। ওই যুবকের ফুসফুসে পানি জমে অক্সিজেন চলাচল বন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে। লাশটি হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ভারাক্রান্ত অশ্রুসিক্ত সুজনের বড়ভাই উজ্জ্বল জানান, সুজন আজকে বিকেলে কাজীপাড়া ঈদগাহ মাঠে ফুটবল খেলা শেষে দরগা হাটি পুকুরে গোসল করতে গিয়েছিল। হাসপাতালে এসে দেখেন সুজন মারা গেছে।
তিনি আরও জানান, গত দুইদিন আগে মুখলেছুর রহমান নামের এক ব্যক্তি একই সময় একই ঘাটলায় গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে মারা গিয়েছিল। ওই ব্যক্তিকে তার ভাই সুজনই পানির তলদেশ থেকে উদ্ধার করেছিল। আজকে দাফনকাজ কাজটিও সুজন করেছে৷ তাই তার ভাই সুজনের আকস্মিক মৃত্যুটি কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছেন না।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)
মুহাম্মদ এমরানুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, জেলা শহরের কাজীপাড়ায় পুকুরের পানিতে ডুবে একজন অটোরিকশা চালক মারা গেছে৷ হাসপাতালে ও ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তাদের কোন অভিযোগ নেই বলে, নিহতের মরদেহ হাসপাতাল থেকে পরিবারের লোকেরা বাড়িতে নিয়ে গেছে।