জেলা প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বিজেশ্বর গ্রামে পাগলা কুকুরের কামড়ে সাত শিশুসহ অন্তত ১০ জন গুরুতর আহত হয়েছে।
বুধবার (২০ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের বিজেশ্বর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয়রা পাগলা কুকুরকে এখনও আটক করতে পারেনি। কুকুরটি প্রতি পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে শিশুদের কামড়াচ্ছে।
এ ঘটনায় গুরুতর আহতরা হলেন- ইয়াসমিন(২৬), মুফিজ (২৩), তাসিন (৮), তাহমিদ (৮), আইমান (৭), রাফি (৭), আব্দুল্লাহ (২), সিয়াম (৭), মোজাহিদ (৮) ও এক জনের পরিচয় জানা যায়নি।
স্থানীয়রা জানান, বুধবার বিকেলে একটি বেওয়ারিশ পাগলা কুকুর বিজেশ্বর গ্রামে ঢুকে সামনে যাকে পেয়েছে তাকে কামড়ে আহত করতে থাকে। কুকুরটি এই গ্রামের একাধিক বাড়িতে ঢুকে অনেককে কামড়িয়েছে। আহতদের মধ্যে নারী, পুরুষ ও শিশু রয়েছেন।
এ ঘটনায় আহত ১২ জন জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
আহত শিশু আব্দুল্লাহ’র বাবা মোবারক মিয়া বলেন, আমার ছেলের মুখে কামড় দিয়ে গালের মাংস তুলে ফেলেছে। পাগলা কুকুরটি সামনে যাকে পেয়েছে তাকেই কামড়িয়েছে। এ সময় ভয়ে-আতঙ্কে মানুষ ঘরের দরজা বন্ধ করে রাখেন।
আহত ইয়াসমিন আক্তার বলেন, গরুর খড় আনতে গিলে কুকুরটি হঠাৎ সামনে এসে লাফ দিয়ে আমার নাকে কামড় দিয়ে পালিয়ে যায়। এলাকার চারদিকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় কেউ সাহস করে সামনে আসেনি।
জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আব্দুল্লাহ আল-মামুন জানান, পাগলা কুকুরটি আহতদের নাকে, মুখে ও গালে কামড়িয়েছে। তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি। ইমার্জেন্সি আহতদের ড্রেসিং করেছি। কালকে হাসপাতালে আসতে বলেছি।
রামরাইল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শাহাদত খান বলেন, পাগলা কুকুরের কামড়ে ৭-৮ আহত হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এখনও পাগলা কুকুরটি মারতে পারেনি।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. হিমেল খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গুরুতর আহত বেশ কয়েকজন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। ক্ষতস্থানটি বাংলা সাবান আধ-ঘন্টা ধোঁয়ার জন্য আহুতদের বলা হয়েছে। আজকে সরকারি ছুটি থাকায় কালকে হাসপাতালে এসে কুকুরের ভ্যাক্সিন নিতে বলা হয়েছে।