Saturday , 23 November 2024
E- mail: news@dainiksakalbela.com/ sakalbela1997@gmail.com
ব্রেকিং নিউজ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নৌকা ডুবিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২২।। উদ্ধার কাজ চলছে

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নৌকা ডুবিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২২।। উদ্ধার কাজ চলছে

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি।।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের লইছকা বিলে বালুবাহী ট্রলারের ধাক্কায় যাত্রীবাহী একটি নৌকার ডুবির ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
এর মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই বেশি। নৌকা ডুবির ঘটনা ইতিমধ্যে তদননের জন্য ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এদিকে, রাতেই উদ্ধারকৃত ২১ টি মরদেহ নিহতদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আজকে দুপুরে একটি মেয়ে শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়৷
গতকাল বিকালে সিমনা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়কের ভাতের খলা এলাকার লইছকা বিলের পাশের একটি খালে বালুবাহী একটি ট্রলারের ধাক্কায় যাত্রীবাহী একটি নৌকা ডুবে যায়। এরপর স্থানীয়রা উদ্ধার অভিযান শুরু করে। নৌকার নিচে থাকায় নারী ও শিশুদের প্রাণহানি বেশি হয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে স্বজনরা ছুটে এলে তাদের আহাজারিতে পরিবেশ ভারী হয়ে যায়। পরে রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ কিশোরগঞ্জ থেকে ডুবুরি দল এসে উদ্ধার কাজ শুরু করে। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আসার পর একে একে মরদেহ উদ্ধার শুরু হয়। আজ বিকেল পর্যন্ত ২২ টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন,ব্রাহ্মণবাড়িয়া ট্রলার-নৌকার সংঘর্ষ:
নিহত ২১ জনের নাম ও পরিচয়।।
নিহতরা হলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের চিলোকুট গ্রামের আবদুল্লাহ’র কন্যা সন্তান তাকুয়া (৮), বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর ইউনিয়নের ফতেহপুর গ্রামের জহিরুল হক ভূইয়ার ছেলে আরিফ বিল্লাহ (২০), একই ইউনিয়নের গেরাগাঁও গ্রামের মালু মিয়ার স্ত্রী মনজু বেগম (৬০), একই গ্রামের জজ মিয়ার স্ত্রী ফরিদা
বেগম (৪০), তার কন্যা সন্তান মুন্নী বেগম (৬), একই ইউনিয়নের নুরপুর গ্রামের আবদুর রাজ্জাকের স্ত্রী মিনারা বেগম (৪২),
বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর ইউনিয়নের আদমপুর গ্রামের পরিমল বিশ্বাসের স্ত্রী অঞ্জনা বিশ্বাস (৩০), তার কন্যা সন্তান ত্রিদিবা বিশ্বাস (৩), একই ইউনিয়নের গেরাগাঁও গ্রামের
আবদুল হাসেমের স্ত্রী কমলা বেগম (৪৫), ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার দক্ষিণ পৈরতলার আবু সাঈদের স্ত্রী মোমেনা বেগম (৫৫), পৌর এলাকার উত্তর পৈরতলার ফারুক মিয়ার স্ত্রী কাজল বেগম (৩৫) ও ফারুকের ভাতিজি নাশরাহ (৩), পৌর এলাকার দাতিয়ারা এলাকার হাজী মোবাশ্বের মিয়ার মেয়ে তাসফিয়া মীম (১২), সদর উপজেলার সাদেকপুর গ্রামের মুরাদ হোসেনের ছেলে তানবীর (৮), একই ইউনিয়নের গাছতলা গ্রামের জামাল মিয়ার ছেলে সাজিম (৭), সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের ভাটপাড়া গ্রামের জারু মিয়ার মেয়ে
শারমীন (১৮), ময়মনসিংহ জেলার খোকন মিয়ার স্ত্রী ঝর্ণা বেগম (৫৫), বিজয়নগর উঅফবচ৭পজেলার চম্পকনগর ইউনিয়নের চম্পকনগর গ্রামের কামাল মিয়ার মেয়ে মাহিদা আক্তার (৫), পত্তন ইউনিয়নের মনিপুর গ্রামের মৃত আব্দুল বারীর ছেলে হাজী সিরাজুল ইসলাম (৫৮), একই ইউনিয়নের বড় পুকুরপাড় এলাকার সোলমান মন্সীর স্ত্রী রবিনা বেগম (৪০), ময়মনসিংহ জেলার গৌরিপুর উপজেলার রামগোয়ালপুর ইউনিয়নের ওড়াকোনা গ্রামের শাওন মিয়ার ছেলে সাজিদ (৩) ও  একজন যুবকের (২৩) পরিচয় জানা যায়নি
গতকাল ঘটনাস্থলে গিয়ে জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খান ও পুলিশ সুপার মো আনিসুর রহমার পরিদর্শন করেছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক হায়াত উদ্দৌলা খান বলেন, ঘটনার তদন্তে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। জেলা প্রসাশনের পক্ষ থেকে নিহতদের দাফন-কাফনের জন্য পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে সহায়তা প্রদান করা হবে। জেলা প্রশাসক আরো জানান, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দায়ীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মো আনিসুর রহমান বলেন, যত দ্রুত সম্ভব উদ্ধার কাজ সম্পন্ন করা হবে। আমাদের পুলিশ টিম কাজ করছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা তৌফিকুল ইসলাম জানান, স্থানীয়দের সহায়তা ও উদ্ধার অভিযানের কাজ দ্রুত শেষ করা হবে।

About Syed Enamul Huq

Leave a Reply