ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে কিট সংকটের কারণে গত তিনদিন ধরে করোনা-ভাইরাস শনাক্তের জন্য র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
ফলে হাসপাতাল থেকে তাৎক্ষণিকভাবে করোনা পরীক্ষার ফলাফল জানতে পারছেন না করোনা ভাইরাসে৪ জন্য নমুনা দেওয়া রোগীরা।
এখন শুধু ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টারের পিসিআর ল্যাব থেকে আসা পরীক্ষার ফলাফলে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা যাবে। এ রিপোর্ট আসতে ৫-৭ দিন লাগবে। এতে করে বিপাকে পড়তে হচ্ছে করোনায় আক্রান্ত রোগী ও চিকিৎসকদের।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত রোববার (২২ আগস্ট) ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের কিছু রোগীর র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের করার পর কিট শেষ হয়ে যায়। এরপর তিনদিন ধরে যেসব রোগীর নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে, তা ঢাকায় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টারের পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হচ্ছে। ফলে সোমবারের থেকে যেসব রোগীর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে, তারা ঢাকা থেকে রিপোর্ট আসার পর ফলাফল জানতে পারবেন। সোমবার আগে অ্যান্টিজেন টেস্টের মাধ্যমে আধাঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট জানা সম্ভব হতো।
২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, প্রথম দফায় স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে অ্যান্টিজেন পরীক্ষার জন্য ৫০০ কিট, দ্বিতীয় দফায় ছয় হাজার, তৃতীয় দফায় চার হাজার ও চতুর্থ দফায় দুই হাজার কিট পাঠানো হয়। গত বছরের ৫ ডিসেম্বর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা শুরু হয়। ডিসেম্বর থেকে চলতি মাসের গত সোমবার পর্যন্ত হাসপাতালে ১১ হাজার ৬৮টি অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করা হয়েছে। প্রতিদিন হাসপাতালে ১৫০ থেকে ২০০ রোগীর অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করা হতো।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, অ্যান্টিজেন কিট সংকট হওয়ায় আমরা নমুনা পরীক্ষা করতে ঢাকায় পিসিআর ল্যাবে পাঠাচ্ছি। যেসব রোগীর করোনায় আক্রান্ত হওয়ার লক্ষ্মণ আছে তাদের আমরা আলাদা ওয়ার্ডে ভর্তি করছি। রিপোর্ট দেরিতে আসায় রোগীরা কিছুটা সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় কিট কবে নাগাদ আবার আসতে পারে তা এখনই বলা যাচ্ছে না।