ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশকে এগিয়ে নেয়ার জন্য দেশের গুণীজনদের সম্মান দেয়ার ব্যাপক ব্যবস্থা করেছেন। তেমন একটি আলোকিত আয়োজন শিল্পকলা একাডেমী সম্মাননা। গুণীজনদের সম্মাননা দেয়ার মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের সামনে তাদের উপস্থাপন করে গুণীজন সৃষ্টির পথকে সুগম করা হয়।
তিনি বৃহস্পতিবার(১৮ মার্চ) সন্ধ্যায় শহরের জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে শিল্পকলা একাডেমী সম্মাননা ২০১৮ ও ২০১৯ পদক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
এসময় উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, আজকে যারা শিল্পকলা সম্মাননা পেয়েছেন তাদের সম্মান আরো বৃদ্ধি পেয়েছে মুজিববর্ষে ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে এ সম্মান গ্রহণ করে। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ অবিচ্ছেদ্য অংশ বলেই বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী একসাথেই আমরা উদযাপন করার সুযোগ পেয়েছি।
তিনি আরো বলেন,করোনা সংকট-শারীরিক অসুস্থতা উপেক্ষা করেই আমি শিল্পকলা একাডেমীর সম্মাননা অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছি কারণ গুণীজনদের পাশে থেকে আমি নিজেও সম্মানিত বোধ করি।
জেলা শিল্পকলা একাডেমীর পরিচালনা পর্ষদ সভাপতি ও জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা-খানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এসআরএম উসমান গনি সজিবের সঞ্চালনায় এসময় গেস্ট অব অনার ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ফাহিমা খাতুন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবীর, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রইছ উদ্দিন, জেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার। সম্মাননাপ্রাপ্তদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন আবৃত্তিশিল্পী মো.মনির হোসেন।
বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমী ২০১৮ সালে ৫ জন ও ২০১৯ সালে ৫ জন গুণী শিল্পীকে শিল্পের বিভিন্ন শাখায় বিশেষ অবদান রাখায় শিল্পকলা পদক প্রদান করা হয়।
২০১৮ সালের পদকপ্রাপ্তরা হলেন কন্ঠসঙ্গীতে রাধাগোবিন্দ চক্রবর্ত্তী, নাট্যকলায় দীপক কুমার পাল, যাত্রাশিল্পে লীলমোহন সরকার, আবৃত্তিশিল্পে মো. মনির হোসেন, যন্ত্রসঙ্গীতে দিলীপ বনিক ও ২০১৯ সালের পদকপ্রাপ্তরা হলেন কন্ঠসঙ্গীতে শাহিনুর শাই, নাট্যকলায় মো.আলাউদ্দিন খান, লোক সংস্কৃতিতে মাহফুজা বেগম, যন্ত্রসঙ্গীতে আবিদুল হোসেন ও চারুকলায় বাবুল মিয়া।