বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি :
শীত মৌসুম এলেই বোয়ালমারী তে বিভিন্ন অঞ্চলের পিঠা বিক্রি করতে দেখা যায়। বাংলার চিরায়ত লোকজ খাদ্য সংস্কৃতিতে পিঠা একটা স্থান দখল করে আছে।
প্রতি বছর শীত মৌসুমে এলাকায় পিঠা তৈরির ব্যস্ততা চোখে পড়ে। বিশেষ করে গ্রাম অঞ্চলের বাড়ি বাড়ি হরেক রকম পিঠা তৈরি হয়।বাড়িতে পিঠা তৈরির পাশাপাশি বোয়ালমারীর বিভিন্ন অঞ্চলের বা রাস্তায় পাশে পিঠা বানিয়ে বিক্রি করছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। এভাবে পিঠা বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছে অনেকে। অস্বচ্ছলতার কারণে পিঠা বিক্রি করে পরিবারের সদস্যদের অর্থ যোগান দেয় অনেকে। কেউ বা আবার এই বিক্রির টাকা দিয়ে ঔষধ কিনে খাচ্ছে।
বোয়ালমারী চৌরাস্তায় বঙ্গবন্ধু চত্ত্বর এর সামনে নিলুফা বেগম নামে ৭০ বয়সী এক বৃদ্ধার সাথে কথা হয়। তিনি বলেন শীত মৌসুমে এলে পিঠা বিক্রি করে সংসার চালাই এবং নিজের ঔষধ কিনে খাচ্ছি। তিনি আরো বলেন প্রতিদিন বিক্রি হয় ৪০০টাকা থেকে ৫০০টাকা।আবার কেউবা পিঠা খেয়ে টাকা না দিয়ে চলে যায়।
এক রকম দৃশ্য চোখে পড়ে রেল স্টেশন, চৌরাস্তা,মহিলা কলেজ মোড়,বিলাসী শপিংমল, তালতলা, ডাকবাংলো মোড়,কৃষি ব্যাংক মোড়সহ বোয়ালমারী বিভিন্ন জায়গায়।এদের বেশির ভাগই শীত মৌসুমে এলেই পিঠার দোকান দিয়ে পিঠা বিক্রি করতে দেখা যায়।
এসব পিঠার দোকানে বিভিন্ন ধরনের পিঠা পাওয়া যায়, এর মধ্যে চিতই পিঠা ও ভাপা পিঠা বেশি পাওয়া যায়। চিতই পিঠা ৫টাকা এবং ভাপা পিঠা ১০টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। পিঠা বিক্রেতা নিলুফা বেগম এর সাথে কথা বলে জানা যায়, ভাপা পিঠা তৈরির উপকরণ চালের গুঁড়া, নারকেল, খেজুরের গুড়, এটা গোলাকার পাতিলে কাপড় পেচিয়ে ঢাকনা দিয়ে হাঁড়ির ফুটন্ত পানিতে ভাপ দিয়ে তৈরি হয় ভাপা পিঠা। অন্য দিকে চালের গুঁড়া পানিতে মিশিয়ে মাটির হাড়িতে বিশেষ উপায়ে তৈরি করা হয় চিতই পিঠা।পিঠা বিক্রি চলবে পরো শীত মৌসুম।