বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার দুটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে মাসিক বেতন, বিদ্যুৎ বিল ও পরীক্ষার ফি আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বাড়িতে পরীক্ষা নেয়ার অজুহাতে শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে যাবতীয় পাওনা আদায়ের পাঁয়তারা করছে বিদ্যালয় দুটি। অভিযোগে প্রকাশ, উপজেলা সদরে অবস্থিত উপজেলার সর্ববৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘বোয়ালমারী জর্জ একাডেমী’ ও চতুল ইউনিয়নে অবস্থিত ‘চতুল উচ্চ বিদ্যালয়’ সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে মাসিক বেতন ও পরীক্ষার ফি আদায় এবং বাড়িতে পরীক্ষা নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। বোয়ালমারী জর্জ একাডেমীর নিজস্ব অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এই ঘোষণা দেন এবং ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তাদের ফেসবুক পেজে তা শেয়ার করেন। একই সাথে এই দুটি বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের ফোন দিয়ে পাওনাদি পরিশোধ করতে বলছেন। বাড়িতে কোন পরীক্ষা নেয়া কিংবা বেতন আদায় সংক্রান্ত কোন নির্দেশনা সরকারের উচ্চ মহল এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে জারি করা না হলেও ওই বিদ্যালয় দুটি শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে জোর করে টাকা আদায় করছে। করোনাকালীন সময়ে বিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে টিউশন ফি, পরীক্ষার ফি এবং বিদ্যুৎ বিল আদায় করায় বিষয়টি নিয়ে অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। এ ব্যাপারে বোয়ালমারী জর্জ একাডেমীর জনৈক অভিভাবক বলেন, করোনাকালীন সময়ে বিদ্যালয় বন্ধ থাকার পরও বিদ্যুৎ বিল, টিউশন ফি আদায় করা অমানবিক। শিক্ষার্থীদের কাছে প্রশ্ন দিয়ে বাড়িতে পরীক্ষা নেয়ার যৌক্তিকতা প্রশ্নবিদ্ধ। বোয়ালমারী জর্জ একাডেমীর প্রধান শিক্ষক আব্দুল আজিজ বলেন, পরীক্ষা নেয়ার কোন নির্দেশনা সরকারি পর্যায় থেকে নেই। বিদ্যালয়ের বিভিন্ন ব্যয় নির্বাহের জন্য টিউশিন ফি আদায় করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. আব্দুর রহিম জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বেতন আদায় এবং পরীক্ষা সংক্রান্ত কোন নির্দেশনা নেই। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকেও কোন বিদ্যালয়কে এ ব্যাপারে কোন নির্দেশনা দেয়া হয়নি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঝোটন চন্দ বলেন, চতুল উচ্চ বিদ্যালয়ের ব্যাপারে আমার জানা নেই। জর্জ একাডেমীর ব্যাপারে এক মহিলা অভিভাবক আমাকে ফোন দিয়েছিলেন। আমি বেতন আদায়ের নোটিশটা দেখিনি। দেখে সিদ্ধান্ত নেব।