বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে বৃদ্ধ আকমল শেখকে মারপিট করে খুন, ভয় ভীতি প্রদান ও হুকুম দানের অপরাধে বোয়ালমারী থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় এজাহারনামীয় ১৭ জনসহ অজ্ঞাতনামা ৮-১০ জনের বিরুদ্ধে শুক্রবার রাতে নিহতের ছেলে মো. ইব্রাহীম শেখ বাদি হয়ে মামলা করেছেন।
জানা যায়, উপজেলার চতুল ইউনিয়নের পোয়াইল গ্রামে গত ১৭ মার্চ বুধবার রাতে পোয়াইল গ্রামের কৃষক আকমল শেখ (৬০) দোকানে বিড়ি কিনার জন্য বাড়ি থেকে বের হলে দুর্বৃত্তরা তাকে কুপিয়ে রাস্তায় ফেলে রাখে। তাকে আহত অবস্থায় তার পরিবারের সদস্যরা উদ্ধার করে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। এ ঘটনায় শুক্রবার (১৯ মার্চ) রাত সাড়ে ৯ টায় আকমল শেখের ছেলে মো. ইব্রাহীম শেখ বাদি হয়ে ১৪৩/৩৪১/৩০২/৫০৬/১১৪/৩৪ ধারায় বোয়ালমারী থানায় মামলা করেছেন। মামলার আসামীরা হলেন চতুল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহবায়ক ও বোয়ালমারী সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি শরীফ মো. সেলিমুজ্জামান লিটু, জামাল মাতুব্বর, সবুজ মাতুব্বর, নুরু মাতুব্বর, সাহিদুল মাতুব্বর প্রমুখ।
এ ব্যাপারে চতুল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শরীফ মো. সেলিমুজ্জামান লিটু বলেন, ‘সামনে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন। আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে আমার প্রতিপক্ষের লোকেরা আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। নিহতের স্ত্রী সাংবাদিকদের কাছে বলেছিল কে বা কারা খুন করেছে জানি না। কিন্তু এখন রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় আমাকে আসামী করা হয়েছে।’
উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আসাদুজ্জামান মিন্টু বলেন, ‘এটা আসলে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই।’
উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও শেখর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. ইস্রাফিল মোল্যা বলেন, ‘আমার মনে হয় না যে সে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত আছে। তার বাড়ি অনেক দূরে। সে গ্রাম্য রাজনীতির শিকার। আমার মনে হয় না তাকে আসামী করা সঠিক হয়েছে।’
এ ব্যাপারে বোয়ালমারী থানা অফিসার ইন চার্জ মোহাম্মদ নুরুল আলম বলেন,’বাদির লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা মামলা নিয়েছি। আমরা তদন্ত করে দেখব যাদের নাম দিয়েছে তারা এ ঘটনার সাথে প্রকৃত জড়িত কি-না। ঘটনার সাথে প্রকৃত যারা জড়িত তাদের খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। ‘