রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি: দীর্ঘদিন থেকে ক্যান্সার আক্রান্ত বড় বোন রহিমের নেছা (৮০)। বার্ধক্যজনিত কারনে ও ক্যান্সারে অসুস্থ্য বোন রহিমের নেছা শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টায় স্বামীর বাড়ী রামগঞ্জ উপজেলার বাঁশঘর গ্রামে মারা যান। ঢাকায় কর্মরত ছোট ভাই সফি উল্যাহ (৪৫) বোনের মৃত্যুর খবর পেয়ে ঢাকা থেকে লোকাল বাসে করে রওয়ানা দেন গ্রামে। রাত ৩টায় কুমিল্লায় নামার পর বিকল্প কোন যানবাহন না পেয়ে সিএনজিযোগে শাহরাস্তি উপজেলা হয়ে রামগঞ্জ উপজেলার শেফালীপাড়া গ্রামের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। পথিমধ্যে শাহরাস্তির বাজারের কালিয়াপাড়া এলাকায় সিএনজি চালক নিয়ন্ত্রন হারিয়ে সড়কের উপর দাঁড়িয়ে থাকা কাভার্ডভ্যানের পিঁছনে সজোরে ধাক্কা মারলে সিএনজি চালক ও সফি উল্যাহসহ সিএনজির কয়েকজন যাত্রী মারাত্মক আহত হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয় লোকজন সিএনজি চালককে ঢাকায় ও সফিউল্যাহকে শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে শনিবার ভোর ৬টায় সফিউল্যাহ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
পরে পুলিশ হসপিটাল থেকে সফিউল্যাহর লাশ উদ্ধার করে তার মোবাইলের সীম খুলে গ্রামের বাড়ীতে খবর পৌঁছালে শনিবার সকালে স্ত্রী ও স্বজনরা শাহরাস্তি মডেল থানায় গিয়ে লাশ বাড়ীতে এনে দাফন করে। লাশ দাফনের দিন সন্ধায় দূর্ঘটনায় নিহত সফিউল্যাহর স্ত্রী মরিয়ম বেগমসহ নিকটাত্মীয়রা জানতে পারেন ঢাকা থেকে বাড়ীতে আসার সময় প্রায় ৫০হাজার টাকা নিয়ে তিনি রওয়ানা দেন।মৃত সফিউল্যাহর স্বজনরা মোবাইল ফোনে শাহরাস্তি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহ আলম এলএলবিকে অফিসার ইনচার্জ দ্রুত স্থানীয়ভাবে খবর নিতে পুলিশ সোর্স নিয়োগ করেন। দিনব্যপি তদন্ত শেষে অবশেষে মৃত সফি উল্যাহর সাথে থাকা টাকা ও মূল্যবান মালামাল উদ্ধার করা হয়।আজ রবিবার সকালে দূর্ঘটনায় নিহত সফি উল্যাহর স্ত্রী মরিয়ম বেগমের হাতে উদ্ধারকৃত টাকা তুলে দেন শাহরাস্তি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহ আলম এল এল বি ও এস আই চৌধুরী আলম।শাহরাস্তি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহ আলম এল এল বি জানান, পুলিশের পেশাটাই তো এমন। অসহায়দের যে কোন বিপদে উদ্ধার করা ও দেশবিরোধীদের শায়েস্তা করাই বাংলাদেশ পুলিশের কাজ। আমরা দায়িত্ব পালন করেছি মাত্র।দূর্ঘটনায় নিহত সফি উল্যাহর স্ত্রী মরিয়ম বেগম জানান, শাহরাস্তি থানার ওসি সাহেবের জন্য আমি আল্লাহপাকের কাছে দোয়া কামনা করছি। একজন পরোপকারী ও ভালো মানুষের চরিত্র আসলেই এমন। তিনি এসময় শাহরাস্তি থানা পুলিশের প্রত্যেক সদস্যকেও দোয়া করেন।