বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে ফসলি জমি বিক্রি করে লিখে না দিয়ে ওই জমির মাটিই আবার মাটি ব্যবসায়ীর নিকট বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। থানায় দেয়া মোসাঃ ফাতেমার লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বোয়ালমারী উপজেলার গুনবহা ইউনিয়নের রেনিনগর গ্রামের কলম শেখ ১০/১২ বছর আগে ২২ হাজার টাকায় মোসা. ফাতেমা বেগমের কাছে বাড়ির পাশের একটি ফসলি জমি বিক্রি করেন। দলিলের পর বাকি টাকা দেয়ার কথা থাকলেও জমি লিখে না দিয়ে কলম শেখ টালবাহানা করতে থাকে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ মিমাংসা করতে সালিশ করলেও কলম শেখের একগুঁয়েমির কারণে সালিশ ব্যর্থ হয়। সম্প্রতি কলম শেখ ওই ফসলি জমির মাটি এক মাটি ব্যবসায়ীর নিকট ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন।
সরেজমিনে বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়, থানায় অভিযোগকারী মোসাঃ ফাতেমা এবং অভিযুক্ত কলম শেখ আপন ভাই-বোন। এ সময় দেখা যায়, ভেকুর সাহায্যে ওই ফসলি জমির মাটি কেটে ট্রলিতে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
এ ব্যাপারে কলম শেখ টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, জায়গা-জমি এখনো ভাগবাটোয়ারা হয়নি। এ ব্যাপারে আমার ছেলে ভালো বলতে পারবে। আমি এখানে পুকুর খনন করছি। কলম শেখের ছেলে আব্দুল আহাদ শেখ বলেন, ৫০ হাজার টাকায় মাটি বিক্রি করেছি। ফসলি জমির মাটি কাটা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সবাই কাটে তাই কাটছি। বোয়ালমারী উপজেলার ময়না ইউনিয়নের বর্নিরচর গ্রামের লিয়াকতের ছেলে মাটি ব্যবসায়ী নান্নুর নিকট মাটি বিক্রি করেছি। এ সময় ঔদ্ধত্য দেখিয়ে তিনি বলেন, মামলা একটা কেন দশটা হোক।
প্রতিবেশী ইয়ার আলী বলেন, বিবাদমান জমির জন্যই কলম শেখ ২২ হাজার টাকা নিয়েছে বলে জানি।
এ ব্যাপারে বোয়ালমারী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মারিয়া হক বলেন, ফসল কিংবা সবজি হয় এমন জমি থেকে মাটি কেটে কোন অবস্থাতেই পুকুর খনন করা যাবে না। এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।