অনলাইন ডেস্ক:
রাজধানীর ধানমণ্ডির আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল রবিবার এক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, ওই ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ওই ছাত্রীর দুই বন্ধুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে চিকিৎসকদের ধারণা, বিষাক্ত মদ পানে ছাত্রীটির মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। মোহাম্মদপুর থানার ওসি আব্দুল লতিফ বলেন, ওই ছাত্রীর বাসা মোহাম্মদপুরে। তিনি ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন অভিযোগ করে গতকাল সন্ধ্যায় তাঁর বাবা থানায় একটি মামলা করেছেন। এজাহারভুক্ত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে আপাতত গ্রেপ্তারকৃতদের বিস্তারিত কিছু জানাতে রাজি হয়নি পুলিশ।
প্রাথমিক তদন্তের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, গত শুক্রবার রাতে ওই ছাত্রী ধানমণ্ডির একটি রেস্টুরেন্টে যান তাঁর বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে। একপর্যায়ে তাঁরা ওই রেস্টুরেন্টের ওয়াশরুমে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়। এতে ওই ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে প্রথমে ধানমণ্ডি এলাকার একটি বাসায় নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে ধানমণ্ডির আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালের আইসিইউয়ে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল তিনি মারা যান। মৃত্যুর আসল কারণ ময়নাতদন্তের পরই জানা যাবে বলে জানান ওসি।
এ বিষয়ে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালের পরিচালক ডা. এনায়েত হোসেন শেখ বলেন, শনিবার সকাল ৭টার দিকে অসুস্থ অবস্থায় ওই ছাত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন অন্য দুই ছাত্রী। তাঁর রক্তচাপ ছিল খুবই কম, পালস পাওয়া যাচ্ছিল না। দ্রুততার সঙ্গে তাঁকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। অবস্থার কিছুটা উন্নতিও হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁকে বাঁচানো যায়নি। ছাত্রীর মৃত্যুর পরপরই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রথমে ধানমণ্ডি থানা এবং পরে মোহাম্মদপুর থানায় যোগাযোগ করে। পুলিশ এসে পরে মৃতদেহ নিয়ে যায়। চিকিৎসকদের ধারণা, বিষাক্ত মদ পানে ছাত্রীটির মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি রাজধানীর কলাবাগান থানা এলাকায় এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের ফলে মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটল।