নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের একলাশপুর ইউনিয়নে ধর্ষণের চেষ্টা ও নির্যাতনের ঘটনায় মামলার বাদীর সাক্ষ্য নিয়েছে আদালত। এর আগে গত (২৪ মার্চ) আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ১ এর বিচারক জয়নাল আবেদিন মামলার বাদীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ করেন। আসামি পক্ষের আইনজীবি আসামিদের জামিন চাইলে বাদী পক্ষের আইনজীবি অ্যাডভোকেট হাবীবুর রসূল মামুন আসামিদের জামিনের তীব্র বিরোধীতা করেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ লাবলু জানান, এ মামলার ১৩ আসামির মধ্যে প্রধান আসামি নূর হোসেন বাদলসহ ৯ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এ মামলার আরও ৪ আসামি বর্তমানে পলাতক রয়েছে। বাদীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে ৯ আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২৩ আগস্ট ধার্য করেন আদালত।
একাধিক সূত্র জানায়, আদালতের কার্যক্রম শেষে আসামিদের কারাগারে নিয়ে যাওয়ার সময় গণমাধ্যম কর্মীরা ছবি তুলতে গেলে আসামিরা অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ ও আক্রমণাত্মক আচরণ করে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ওই নারীর সাবেক স্বামী ২০২০ সালের ২ সেপ্টেম্বর রাতে তার সঙ্গে দেখা করতে তার বাবার বাড়ি জয়কৃষ্ণপুর গ্রামে আসেন। এ সময় স্থানীয় দেলোয়ার হোসেন ওরফে দেলু রাত ১০টার দিকে তার বাহিনী নিয়ে গৃহবধূর ঘরে প্রবেশ করে অনৈতিক কর্মকান্ডের অভিযোগ করেন। তারপর গৃহবধূকে নির্যাতন করে বিবস্ত্র করে ভিডিও চিত্র ধারণ করে। এরপর গত ৪ অক্টোবর বিবস্ত্র নির্যাতনের ভিডিও চিত্র ফেসবুকে ভাইরাল হলে দেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
উল্লেখ্য, বেগমগঞ্জের একলাশপুর ইউনিয়নে নারীকে নির্যাতন করে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় ২০২০ সালের ৬ অক্টোবর ভুক্তভোগী বাদি হয়ে ১৪ জনকে আসামি করে বেগমগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করে। পরে ওই মামলায় অভিযুক্ত ৯ আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ মামলার বর্তমান আসামি ১৩জন। পরে এ ঘটনায় নির্যাতিতার দায়ের করা নির্যাতন ও ধর্ষণ চেষ্টার মামলা অধিকতর তদন্তের জন্য পিবিআইতে হস্তান্তর করা হয়।