শুধু সনদ দিয়েই বিএসটিআইয়ের দায়িত্ব শেষ করা যাবে না। গুণগত মান ঠিক রেখে পণ্য তৈরির ধারাবাহিকতা রক্ষা করা হচ্ছে কি না, সেটা নজরদারির মধ্যে রাখতে হবে। তা না হলে যে উদ্দেশ্য নিয়ে মান নির্ধারণ করা হয়, সে ক্ষেত্রে জনস্বাস্থ্যের জন্য ভালো কিছু নিয়ে আসবে না।
বিশ্ব মান দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) ভূমিকা সম্পর্কে ভোক্তা ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এমন কথা বলেছেন।
প্রতিষ্ঠানটি এ পর্যন্ত চার হাজারের বেশি পণ্যের মান নিশ্চিত করেছে। ২৭৩টি পণ্যের মান সনদ নেওয়া বাধ্যতামূলক করেছে। অর্থাৎ এসব পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে বাধ্যতামূলকভাবে বিএসটিআইয়ের অনুমতি নিতে হবে।
পণ্য ও সেবার মানের বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে প্রতিবছর বাংলাদেশে দিবসটি পালন করা হয়। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘সমন্বিত উদ্যোগে টেকসই উন্নত বিশ্ব বিনির্মাণে মান’।
বিএসটিআইয়ের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, তাদের সক্ষমতা মতো প্রতিনিয়ত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জরিমানা, মামলা ও কারাদণ্ড দেওয়া হচ্ছে।
একই সঙ্গে লাইসেন্স বাতিল ও প্রতিষ্ঠান সিলগালা করেও দেওয়া হয়। তবে দেশের জনসংখ্যা ও ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সংখ্যার বিবেচনায় আরো বেশি জনবল প্রয়োজন।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, বিএসটিআই বিভিন্ন পণ্যের মান নির্ধারণ করে থাকে। এটা যথাযথ। কিন্তু অসুবিধাটা হচ্ছে, যে স্যাম্পল জমা দেয়, সেটা দিয়েই ওরা মানটা নির্ধারণ করে। বাজার পর্যায়ে অনুমোদিত মানের পণ্য বিক্রি হয় কি না সেটা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে না। এ জন্যই সনদ দেওয়ার পরও বাজারে মানহীন পণ্য পাওয়া যায়।