বাংলাদেশের বিশেষ কোনো দলকে নয়, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল সোমবার রাতে ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরেরর মুখপাত্র ম্যাথু মিলার এ কথা জানান।
ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাশা নিয়ে চীন, রাশিয়া, ইরানের প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন একজন সাংবাদিক। এর জবাবে ম্যাথু মিলার বলেন, ‘আমি জানি না কেন কেউ আমাদের অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আহ্বান জানাতে আপত্তি করবে।
আমি লক্ষ্য করব যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বারবার অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তার নিজের অঙ্গীকারের কথা বলেছেন। আমরা ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের বন্ধু এবং অংশীদার।
মুখপাত্র বলেন, আমরা একটি রাজনৈতিক দলের বিপরীতে অন্য রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করি না; আমরা একটি প্রকৃত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সমর্থন করি। তিনি বলেন, আমি আগে অন্য একটি প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলাম, অন্যান্য দেশ যখন আমাদের সাথে আমাদের নির্বাচন প্রক্রিয়া উত্থাপন করে তখন আমরা এটিকে অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ বলে মনে করি না। আমরা আমাদের গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার একটি সুযোগ হিসেবে সেই আলোচনাগুলোকে স্বাগত জানাই, এবং আমরা জানি না কেন অন্য কোন দেশ আপত্তি করবে।
আন্ডার সেক্রেটারি জেয়া এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি লু এই অঞ্চল ও বাংলাদেশ সফর করছেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার দাবি এবং বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ তৈরি করতে তারা কি ক্ষমতাসীন কর্তৃপক্ষ এবং বিরোধী দল বিএনপির সঙ্গে আলোচনা করবেন- এ প্রশ্নের জবাবে ম্যাথু মিলার বলেন, আন্ডার সেক্রেটারি জেয়া ১১ থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশে সফর করবেন। রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট, শ্রম সমস্যা, মানবাধিকার, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন এবং মানবপাচারের বিরুদ্ধে লড়াইসহ মানবিক উদ্বেগ নিয়ে আলোচনা করতে তিনি জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করবেন।
তিনি নাগরিক সমাজের নেতাদের সঙ্গে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং সংগঠন , মানবাধিকার, শ্রম অধিকার – ঝুঁকিতে থাকা গোষ্ঠীগুলোসহ সুশাসন ও গণতন্ত্রের বিষয়ে আলোচনা করবেন।