বরগুনা প্রতিনিধিঃ বিশেষ ওএমএস ও টিসিবির পণ্য বিক্রয় বন্ধ থাকায় নি¤œ আয়ের মানুষেরা র্দূভোগে পড়েছে । বরগুনায় খোলা বাজারে আটা কিনতে ওএমএস ডিলার দোকানে মানুষের উপচে পড়া ভিড়। ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও অনেকে পাচ্ছে না আটা। ধারনা করা হচ্ছে বিশেষ ওএমএস ও টিসিবির পণ্য বিক্রয় দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকার কারণে খোলা বাজারে আটা কিনতে (ওএমএস) ডিলার দোকানে মানুষ হুমরি খেয়ে পড়ছে। মাত্র ৫ কেজি আটা কিনতে দীর্ঘক্ষন গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে আটা না পেয়ে কেউ কেউ খালি হাতে বাড়ি ফিরছে।
জানাগেছে, মহামারি করোনা ভাইরাস দূর্যোগকালীন সময় সরকার পৌরসভাস্থ নিন্ম আয়ের মানুষের জন্য ১০টাকা কেজি ধরে বিশেষ ওএমএস চাল বিক্রির রেশন কার্ড ও ন্যায্য মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রি চালু করেছে। কিন্তু দীর্ঘ দিন যাবত বরগুনা নিন্ম আয়ের মানুয়ের রেশন কার্ডে উপকারভোগীদের মাঝে ১০ টাকা কেজির চাল ও ন্যায্য মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রি বন্ধ।এ কারণে নিন্ম আয়ের মানুষেরা র্দূভোগে পড়েছে ।
শহরের ব্যাংক কলোনী এলাকার বাসিন্দা রিক্রা চালক মো.আ. রহিম প্রতিবেদকে জানান, পর পর তিন দিন লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও আটা পায়নি। খালি হাতে বাড়ি ফিরছি। চাল দেয়া বন্ধ। চাল ,আটা ও ন্যায্য মূল্যে টিসিবির পণ্য না পাওয়ায় করোনা ভাইরাসের কারণে আমাদের নিন্ম আয়ের মানুষদের খেতে পরতে কষ্ট হচ্ছে। বেঁচে আছি বন্যা ও করোনায় চাল ,আটা ও ন্যায্য মূল্যে টিসিবির পণ্য না পাওয়ায় এখন বুঁজি মারা যাই।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানাগেছে, সরকার ইতি মধ্যে বরগুনা জেলার ৪টি পৌরসভায় ২২ হাজার ২শ জন মানুষে জন্য ১০টাকা কেজি ধরে বিশেষ ওএমএস চাল রেশন কার্ডের মাধ্যমে বিক্রির করেছে।এ কর্মসূচি এ বছরের এপ্রিল মাস থেকে শুরু হয়ে জুন মাস পর্যন্ত চললেও বর্তমানে জুলাই থেকে বন্ধ আছে। এ কর্মসূচির আওতায় ৪ হাজার ৮শ জনকে প্রথমে কার্ড ছাড়া ১০ কেজি ও রেশন কার্ডের মাধ্যমে ৪০কেজি মোট ৫০কেজি, ৮ হাজার ৪শ জনকে রেশন কার্ডের মাধ্যমে ৪০কেজি এবং ১৬ হাজার ৬শ জনকে কার্ডের মাধ্যমে ২০কেজি চাল প্রদান করেন।তবে কার্ডের মাধ্যমে চাল বিক্রিতে সকলে কার্ডে সম-পরিমাণ চাল না পাওয়ায় সাধারণ মানুষের মনে নানা প্রশ্ন ।
টিসিবির পণ্য বিক্রি বন্ধ থাকার কারণ জানতে চাইলে বরগুনা জেলার টিসিবির ডিলার জসিম প্রতিবেদকে মুঠোফোনে জানান, গত মাসের ২৭ তারিখ থেকে এ মাসের ১২ তারিখ পর্যন্ত টিসিবি পণ্য বিক্রি বন্ধ ছিল। আজ ১৩ সেপ্টম্বর রবিবার বরাদ্ধ পেয়েছি সোমবার (১৪ সেপ্টম্বর) বিক্রি করা হবে। দূরের পথ হওয়ায় বরাদ্ধ পাওয়ার ১ দিন পরে বরগুনায় বিক্রি করা হয়।
বিশেষ ওএমএস বন্ধ থাকার কারণ কি এমন প্রশ্নের জবাবে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. শাহাবুদ্দিন আকন্দ প্রতিবেদকে জানান, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিশেষ ওএমএস বন্ধ রেখেছে। তাই বন্ধ। তিনি আরও জানান, মন্ত্রণালয় চালু করলে আবারও বিশেষ ওএমএস চালু হবে।
টিসিবির পণ্য বিক্রি বন্ধ থাকার কারণ জানতে চাইলে টিসিবির বরিশাল বিভাগীয় সহকারি পরিচালক আয়েশা আক্তার প্রতিবেদকে মুঠোফোনে জানান,এ মাসের ১৩ দিন বন্ধ ছিল । ১৩ সেপ্টম্বর বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে। ১৪ সেপ্টম্বর সোমবার থেকে বিতরণ করা হবে।