কফ আমাদের বুকে তৈরি একধরনের শ্লেষ্মা বা পিচ্ছিল পদার্থ। সাধারণত আমরা কফ নামেই চিনি। সর্দি-কাশিতে অসুস্থ হলে বা অন্য কোনো সমস্যা থাকলে বুকে কফ জমে। কফ কাশির মাধ্যমে বের হয়ে এলে তখন তাকে বলা হয় থুথু।
অনেক সময় এই কফ বিভিন্ন রঙের হয়। আসলে এর সাথে আমাদের শরীরের অবস্থাও বোঝা যায় অনেক সময়। চলুন জেনে নিই।হলুদ বা সবুজ কফ
ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ হলে সাধারত কফের রং গাঢ় হলুদ হয়ে যায়। বিশেষ করে সাইনাসের সমস্যা বাড়লে সাধারণত এমন হয়ে থাকে। রং আসে শ্বেত রক্তকণিকা থেকে। প্রথমে আপনি হলুদ কফ লক্ষ্য করতে পারেন, যা পরে সবুজ হয়ে যায়। সম্ভাব্য অসুস্থতার তীব্রতা এবং সময়ের সাথে পরিবর্তন ঘটে। তাই কফের রং এমন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। অর্থাৎ নিচের কারণগুলোর জন্য এমন কফ হতে পারে।
*ব্রংকাইটিস
*নিউমোনিয়া
*সাইনোসাইটিস
*সিস্টিক ফাইব্রোসিস
বাদামি
বাদামি রঙের ক্ষেত্রে সাধারণত পুরনো রক্ত বলা হয়। কফ লাল বা গোলাপি হওয়ার পরে এই রংটি ধারণ করে। অতিরিক্ত ধূমপানের কারণে কফের রং বাদামি হতে পারে। কফ জমে থাকলে শ্বাস নিতে কষ্ট হয়।
যে কোরণে হতে পারে :
*ব্যাকটেরিয়াল নিউমোনিয়া
*ব্যাকটেরিয়াল ব্রংকাইটিস
*সিস্টিক ফাইব্রোসিস
*নিউমোকোনিওসিস
*ফুসফুসের ফোড়া বা পুঁজ হলে
পানির মতো সাদা কফ
আপনার শরীর প্রতিদিন পরিষ্কার শ্লেষ্মা বা কফ উৎপন্ন করে। এই কফ বেশির ভাগই পানি, প্রোটিন, অ্যান্টিবডি এবং কিছু দ্রবীভূত লবণে ভরা থাকে। যা আপনার শ্বাসযন্ত্রের পদ্ধতিকে ভেজা এবং ময়েশ্চারাইজ করতে সহায়তা করে। এ রকম পরিষ্কার কফ বৃদ্ধির অর্থ হতে পারে, ভাইরাস বা অ্যালার্জি।
সাদা ঘন কফ
থকথকে একটু বেশি সাদা কফ বিভিন্ন কারণে হতে পারে। এর অর্থ হলো আপনার নাকের কোষগুলো সংক্রমণজনিত কারণে ফুলে গেছে। ফলে আগের মতো স্বাভাবিকভাবে কফ বাইরে আসতে পারছে না। পর্যাপ্ত আর্দ্রতা না পাওয়াতে এমন হচ্ছে। ভাইরাল ব্রংকাইটিস, সাইনাস, অনেক দিন ধরে হজমের সমস্যা হলে এমন হতে পারে। অনেক সময় হার্ট ঠিকমতো কাজ না করলেও এমন হতে পারে।
গোলাপি কফ
গোলাপি কফকে লাল রঙের আরেকটি রং হিসেবে বিবেচনা করা হয়। হতে পারে আপনার কফের মধ্যে রক্ত আছে। আবার হতে পারে, ফুসফুসে একধরনের তরল জমা হয়েছে। চিকিৎসা পরিভাষায় যার নাম ‘এডিমা’। দীর্ঘদিন ধরে বুকে কফ বসে থাকার কারণে সংক্রমণ হয়। তাই এমন কিছু হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
সূত্র : হেল্থ লাইন