গাজীপুর প্রতিনিধি:
কামরুল ইসলাম শাকিল, বয়স ৩০ এর উর্ধ্বে, ছাত্রত্ব নেই, মিথ্যা তথ্য দিয়ে গঠণতন্ত্রের নিয়ম লংঘন করে গাজীপুর মহানগরীর কাজী আজিম উদ্দিন কলেজ শাখার ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী। তিনি বিবাহিত, রয়েছে ৭ বছরের একটি ছেলে সন্তান। সাংগঠনিক নিয়ম অনুযায়ী ছাত্রলীগ করার বয়সও নেই তার। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁর স্ত্রী ও ছেলের ছবি ছড়িয়ে পড়তে দেখা গেছে। এ নিয়ে গাজীপুরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে।
ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রের ৫-এর গ ধারা অনুযায়ী, বিবাহিত ব্যক্তি ছাত্রলীগের কমিটিতে স্থান পাবেন না এবং কমিটিতে ঢোকার আগে বা পরে বিয়ে করার অভিযোগ উঠলে পদ বাতিলের কথা বলা হয়েছে। বিবাহিতদের বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কোনো পর্যায়ের কমিটিতে স্থান না দেওয়ার বিধান থাকলেও কাজী আমিজ উদ্দিন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে সেই নিয়ম না মানার অভিযোগ উঠেছে। আরো অভিযোগ রয়েছে কাজী আজিম উদ্দিন কলেজ শাখার ছাত্রলীগের নেতৃত্বে পেতে বিয়ের বিষয়টি গোপন করেন শাকিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ছাত্রলীগ নেতা বলেন, তার তো ছাত্রত্ব নেই, সে কি করে কাজী আজিম উদ্দিন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী হয়। তাছাড়া কামরুল ইসলাম শাকিল ৭-৮ বছর আগে বিয়ে করেছেন। তার ৭ বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। এছাড়া পরিবার-পরিজন নিয়ে দলীয় কার্মকান্ডে খুব বেশি সময় দিতে পারেন না তিনি। এতে একদিকে যেমন ত্যাগী পরীক্ষিত ছাত্র নেতারা বঞ্চিত হচ্ছেন অন্যদিকে, নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টি হচ্ছে না।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রের বিধি ২৩ এর উপবিধি ‘ক’ তে বলা হয়েছে, ‘ছাত্রলীগের কোন সদস্য বিয়ে করলে পরবর্তি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অধিকার হারিয়ে ফেলবেন। গঠনতন্ত্রের দ্বিতীয়ভাগের এই ধারা মেনে ছাত্রলীগের কোন কমিটিতে বিবাহিতদের কোন পদ দেওয়া হয় না। এ ব্যাপারে কামরুল ইসলাম শাকিলের সাথে একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।