শরীয়তপুর সংবাদদাতা: শরীয়তপুর সদর উপজেলার রুদ্রকর ইউনিয়নের সুবচনী উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণী ছাত্রী সুরুভী আক্তার (১৭) তাঁর বিদ্যালয়ের সহপাঠী শিক্ষার্থীদের সামনে একই বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র, প্রেমিক আল-আমিন এর মা ও বড় ভাইয়ের অপমান হওয়ার লজ্জা সহ্য করতে না পেরে, প্রেমিকা সুরুভী আক্তার (১৭) আত্মহত্যা করেছে। বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) দুপুরে রুদ্রকর ইউনিয়নের চরলক্ষীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সুরুভী ওই গ্রামের জাহাঙ্গীর ওঝার মেয়ে।
স্থানীয় সূত্রে ও সুরভীর মা ডলি বেগম জানান,
সুবচনী উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণী ছাত্রী সুরুভী আক্তারের সাথে সোনামুখী গ্রামের মৃত মজিদ তালুকদারের ছেলে ও একই স্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্র আল-আমিনের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তবে সুরভীর পরিবার এ বিষয়টি জানতো না। সম্প্রতি এ বিষয়টি আল-আমিনের পরিবার জানলে তাকে ঢাকায় পাঠিয়ে দেয়। অন্যদিকে, বৃহম্পতিবার সকালে আল-আমিনের মা পারভিন বেগম ও বড়ভাই সেনাবাহিনীর সদস্য পারভেজ তালুকদার স্কুলে গিয়ে সুরভীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও জুতাপেটা করে৷ পরে অসুস্থতার কথা বলে ছুটি চাইলে সুরভীকে স্কুলের দপ্তরী বাড়ি পৌছে দেয়। এরপর সুরভী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। খবর পেয়ে পুলিশ বিকালে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছে৷ এদিকে আল-আমিনের বাড়ির সবাই পলাতক রয়েছে। এ ঘটনা মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এব্যাপারে সুরভীর মা ডলি বেগম বলেন, আল-আমিনের মা পারভীন আমার মেয়েকে জুতা পিটাইছে। ওর বড় ভাই পারভেজ তালুকদার অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে। আমার মেয়ে যদি অপরাধ করে থাকে, তাহলে আমি ওর মা আমাকে জানাতে পারতো আমাকে কিছু না জানায়নি সুবচনী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাসির উদ্দিন, আমার মেয়েকে দপ্তরী কে দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছে।আমার মেয়ে এ অপমানের জ্বালা সহ্য করতে না পেরে মনের কষ্টে আত্মহত্যা করেছে। আমি এর বিচার চাই।
এব্যাপারে সুবচনী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাসির উদ্দিন বলেন, ঘটনার বিষয়ে আমি জানিনা। তবে ওই ছাত্রী শরীর অসুস্থ বলে আমি দপ্তরী দিয়ে তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছি। মৃত্যুর ঘটনা দুঃখজনক।
এ ব্যাপারে পালং থানার ওসি আক্তার হোসেন বলেন, পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনা মামলার প্রস্তুতি চলছে। এই ঘটনার অভিযুক্ত দোষী ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে।