ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে গৃহবধূ রহিমা বেগম(৪৫) কে হত্যা ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ।
উপজেলার মেঘশিমুল গ্রামের গৃহবধূ রহিমা বেগমকে ধর্ষণের পর গলায় বেল্ট পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত দুই যুবককে গ্রেপ্তারের পর আদালতে সোপর্দ করা হলে তারা আদালতে ধর্ষণের পর হত্যার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, বিজয়নগর উপজেলার গলিমোড়া গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে আরশাদুল ইসলাম (১৭) ও নিদারাবাদ গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে সালাউদ্দিন(১৫)।
এর আগে গত রোববার সন্ধ্যার দিকে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার আসামপাড়া গুচ্ছ গ্রামের ফজার আলীর বাড়ি থেকে আরশাদুল ও তার দেয়া স্বীকারোক্তি মতে নিজ বাড়ি থেকে সালাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আজ সকালে গ্রেপ্তারকৃতদেরকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহিদুল ইসলামের আদালতে সোপর্দ করা হলে তারা ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। ওই জবানবন্দিতে তাদেরকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
বিজয়নগর থানার পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার সকালে উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নের শিশা জালালাপুর গ্রামের পুকুর পাড় থেকে গলায় বেল্ট পেঁচিয়ে রহিমা বেগমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেন। প্রথমে তারা পুলিশের কাছে এবং পরে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতিকুর রহমান জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে একজনের সাথে ওই নারীর পূর্ব থেকেই পরিচয় ছিলো। সেই সুবাদে তারা ওই নারীকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর রহিমার কাছ থেকে টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়ার জন্য তাকে হত্যা করে লাশ পুকুরে ফেলে দেয়।