অনলাইন ডেস্ক:
বিকাশ প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়ে সর্বশান্ত হয়ে গেছে নবীগঞ্জের একটি কৃষক পরিবার। শুক্রবার (০৯ এপ্রিল) প্রতারকদের ফাঁদে পড়ে ১ লাখ ১৮ হাজার টাকা বিকাশে প্রদান করে পরিবারটির স্কুলপড়ুয়া মেয়ে। টাকা পাওয়ার পরপরই প্রতারক চক্রটি তাদের মোবাইল নম্বর বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে জায়গা-জমি বিক্রি করে বিকাশ দোকানের টাকা পরিশোধ করতে হচ্ছে ওই কৃষক পরিবারের।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার করগাওঁ ইউনিয়নের মুক্তার গ্রামের আকল দাশের স্কুলপড়ুয়া মেয়ের মোবাইল নাম্বারে বিকাশ কম্পানির পরিচয়ে জনৈক প্রতারক ফোন করে তার নামে ১০ লাখ টাকা লটারি লেগেছে মর্মে জানায়। মেয়েটি হতভম্ভ হয়ে সে টাকা পাওয়ার পদ্ধতি জানতে চাইলে প্রতারক জানায় বিষয়টি কারো সাথে শেয়ার না করে যে কোন বিকাশ দোকান থেকে তাদের দেয়া মোবাইল নাম্বারে এক লাখ ১৫ হাজার টাকা বিকাশে প্রদান করলেই তারা লটারির টাকা পরিশোধ করবে।
লোভনীয় এই অফার পেয়ে মেয়েটি তার মা প্রতীমা রানী দাশকে সাথে নিয়ে এসে নবীগঞ্জ শহরের ওসমানী রোডস্থ পুর্ব পরিচিত একটেল শপে এসে বিকাশে পর্যায়ক্রমে ১ লাখ ১৮ হাজার টাকা প্রতারক চক্রের দেয়া নাম্বারে প্রেরণ করে। ততক্ষণ ওই প্রতারক চক্রটি মেয়েটির সাথে ফোনে আলাপরত ছিল। টাকা পাঠানো শেষ হওয়ার সাথে সাথে ওই ফোন নম্বারটিও বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে ওই ফোন নম্বার বন্ধ থাকায় ধরা পড়ে তারা প্রতারণার শিকার হয়েছেন।
এদিকে অসহায় কৃষকের স্কুলপড়ুয়া মেয়ে ও তার মা বিকাশ দোকানের ১ লাখ ১৮ হাজার টাকা পরিশোধ করতে অক্ষম। এক পর্যায়ে স্থানীয় গণ্যমান্য মুরুব্বিরা এক মাসের মধ্যে ওই ব্যবসায়ীর টাকা পরিশোধের সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।
প্রতারণার শিকার হয়ে কৃষক পরিবারটি পথে বসেছে। বিকাশ দোকানির টাকা পরিশোধে জায়গা-জমি বিক্রি করা ছাড়া তাদের আর কোন পথ খোলা নেই।