অনলাইন ডেস্ক:
বিএনপির রাজনৈতিক সব কৌশল এখন জনগণের কাছে ভোঁতা হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা-টাঙ্গাইল-হাটিকামরুল-রংপুর মহাসড়কের সিরাজগঞ্জ এবং ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লায় পণ্যবাহী যানবাহনের চালকদের জন্য বহুমুখী সুবিধা সম্পন্ন বিশ্রামাগার নির্মাণের শুভ সূচনা উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
সেতুমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত সরকার একটি গণতান্ত্রিক সরকার উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সরকার গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল বিধায় যেকোনো দলের গণতন্ত্র চর্চা, রীতিনীতিকে সম্মান করে।
তিনি বলেন, সরকার শ্রদ্ধা করে বিরুদ্ধমত আর তাই বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো প্রতিনিয়ত সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদাগার করে যাচ্ছে, করছে মিথ্যাচার। অবাধ মত প্রকাশের স্বাধীনতা আছে বলেই বিরোধীদলগুলো সরকারের সমালোচনা করতে পারছে। আর গণমাধ্যম স্বাধীন বলেই তারা প্রচার ও প্রকাশ করতে পারছে।
কাদের বলেন, দিবারাত্র সমালোচনা করেও বিএনপি নেতারা দেশে গণতন্ত্র নেই বলে যে অভিযোগ করেন, তা তাদের নিজেদের অভিযোগের অসারতা প্রমাণ করে। বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, অন্ধ সমালোচনা ও মিথ্যাচারের জন্য তাদের কোনো নেতাকে শাস্তি দেয়া হয়েছে তা তারাই বলুক?
ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার পরমত সহিষ্ণুতা আছে বলেই বিএনপি নেতারা অবিরাম মিথ্যাচারের ঢোল বাজিয়ে যেতে পারছেন।
সরকারের মদদে নাকি সন্ত্রাসী কার্যকলাপ হচ্ছে বিএনপি নেতাদের এই অভিযোগের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপির কমিটি গঠনের পর তাদের অফিসে আগুন দিয়েছে কে? নিজেরা মারামারি করে নিজেদের হাত ভাঙছে, মনোনয়ন নিয়ে চালাচ্ছে সন্ত্রাসী কার্যক্রম, এসবতো তাদের নিজেদের সৃষ্ট।
সরকার যেকোনো সন্ত্রাসী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে অটল জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, নিজদলের কেউ অপরাধ করলে শান্তি প্রদানের সাহস একমাত্র শেখ হাসিনাই রাখেন।
তিনি বলেন, সন্ত্রাস, সাম্প্রদায়িক উগ্রতা অনিয়ম দুর্নীতি এবং সামাজিক অপরাধ ও অপরাধীদের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা সরকারের অবস্থান ইতোমধ্যে জাতির কাছে স্পষ্ট, মদদতো নয়ই। শেখ হাসিনা অপরাধীদের আতংকে পরিণত হয়েছে, দলীয় পরিচয়ও তাঁর কাছে ঢাল হতে পারেনি বলে জানান কাদের।
সেতুমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় রাজনীতি করেন, মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় তাঁর নিরলস সংগ্রাম। বিএনপি নেতারা উপ-নির্বাচনে আগে থেকেই ভরাডুবির আশঙ্কা করছেন, জনগণের কাছে তারা কি বলে ভোট চাইবে? তাদের ঝোলায় ইতিবাচক কিছু নেই, তাই বিএনপি বরাবরের মতো মিথ্যা অভিযোগের তীর ছুঁড়তে শুরু করছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের ক্ষমতার উৎস জনগণ এবং জনআস্থা। আওয়ামী লীগ জনগণকে কখনো শত্রু মনে করে না, এমনকি বিএনপিকেও শত্রু ভাবে না বরং রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ মনে করেন।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, সরকারের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিক প্রয়াসে দেশের সড়ক হবে নিরাপদ। উন্নয়ন বান্ধব সড়ক নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা সরকারের অগ্রাধিকার, এ লক্ষ্যে আইনগত কাঠামো শক্তিশালী করনের অংশ হিসেবে সরকার সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ বাস্তবায়ন শুরু করছে।