সরকারি দলের সদস্যরা বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতির পর বিএনপি মনে করেছিল এই ভিসানীতি তাদের ক্ষমতায় এনে দেবে। কিন্তু বাস্তবচিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। আগামীতে তাদের নির্বাচনে না এসে আর কোনো উপায় থাকবে না। তারা রিটার্ন জমা দিতে ন্যূনতম দুই হাজার টাকা কর প্রদানের বিষয়টি ৬৫ বছরের বেশি বয়স্কদের ক্ষেত্রে অব্যাহতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
আলোচনা শেষে আগামীকাল মঙ্গলবার সম্পূরক বাজেট পাস হবে।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে অবকাঠামো উন্নয়ন করেছেন। তার স্বপ্নের পদ্মা সেতু একক প্রচেষ্টায় সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছি। উন্নয়নের এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে।
বিএনপির আশা ভঙ্গ হয়েছে দাবি করে কাজী নাবিল আহমেদ বলেন, মার্কিন ভিসানীতি তাদেরকে ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র স্পষ্ট বলে দিয়েছে, কোনো দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করল বা না করলো সেটা তাদের বিষয় নয়। তাদের অগ্রাধিকার হলো নির্বাচনকে প্রতিহত করার হুমকি দিল কিনা এবং নির্বাচনে সহিংস কিছু করল কিনা? এখন বিএনপি নিজেদের জালে নিজেরাই ধরা খাচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। সেখানে সবাই অংশগ্রহণ করে তাকে অর্থবহ করে তুলব। যারা এতিমের টাকা মেরে খায় তাদের দ্বারা কোনো ভালো কাজ করা সম্ভব নয়। প্রধনমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযাযী ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ একটি উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত হবে বলে তিনি দাবি করেন।
সরকারি দলের সদস্যরা বলেন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে সামাজিক অবকাঠামো খাতে এক লাখ ৯১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ। মানবসম্পদ খাতে ১ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকা, ভৌত অবকাঠামো খাতে ২ লাখ ২৪ হাজার কোটি টাকা। প্রধানমন্ত্রী অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের বিশ্বাস করেন বলেই এটা করা হয়েছে। তিনি সব সময় বাংলাদেশের প্রান্তিক মানুষের দুঃখ-দুর্দশা চিন্তা করেন বলেই তার চিন্তাপ্রসূত বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি যেমন বিধবা ভাতা, দুস্থ ভাতার ব্যবস্থা করেছেন।
সূত্র: কালের কন্ঠ অনলাইন